মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এ অবস্থায় রাতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশের আরও ১৮ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। পরে তাদেরকে হেফাজতে নেয় বিজিবি। এ নিয়ে গেল দুইদিনে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে দেশটির ১১৩ জন সীমান্তরক্ষী।
এদিকে, সীমান্ত সুরক্ষায় কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা। আর সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ এবং বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সশস্ত্র বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ধৈর্যধারণ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার পর সীমান্তের ওপারে ঢেঁকিবুনিয়া এলাকায় প্রচন্ড গোলাগুলি চলে। এ সময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ১১ সদস্য প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের নিরস্ত্র করে ঘুমধুম বিওপিতে নিয়ে যায় বিজিবি।
এ বিষয়ে বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, আত্মরক্ষার্থে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) শতাধিক সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে রেখেছে। তাদের ফেরাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তায় বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। তবে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মিদের মধ্যে বেশ কিছুদিন থেকেই লড়াই চলছে। এতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আতঙ্ক বাড়ছে। সোমবার মিয়ানমারের ছোঁড়া একটি মর্টারশেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দুজন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি এবং আরেকজন রোহিঙ্গা রয়েছেন। নিহত রোহিঙ্গা ব্যক্তিটি দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশে থাকতেন।
এ ঘটনার পর মিয়ানমার সরকারের কাছে বাংলাদেশ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
/এনকে
Leave a reply