পুতিনের আমলে আলোচিত যেসব ব্যক্তিরা প্রাণ হারিয়েছেন

|

রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করা মানেই যেন করুণ পরিণতি। এমনকি পুতিনের যত ঘনিষ্ঠজনই হন না কেন, যারা তার বিরুদ্ধে গিয়েছেন তাদের অনেকেরই হয়েছে রহস্যজনক মৃত্যু। কখনও বিষপ্রয়োগে, কখনও বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আবার কখনও আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাদের। রহস্যজনক এসব মৃত্যুর কুলকিনারাও হয়নি। এই তালিকায় একদিকে যেমন রয়েছে মার্সেনারি দলের প্রধান, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এজেন্ট। আবার রয়েছেন রাজনীবিদ, সাংবাদিকও।

বলা হতো, নিজের পরই সবচেয়ে বেশি যাকে বিশ্বাস করতেন ভ্লাদিমির পুতিন, তিনি হলেন, ইয়েভেগনি প্রিগোঝিন। ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোঝিন ছিলেন ইউক্রেনে রুশ অভিযানের মাস্টারপ্ল্যানার। অথচ পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার অপরাধে ছাড় পাননি এই যুদ্ধবাজ নেতাও। রহস্যময় বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার।

রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা নাভালনির মৃত্যুর পর আবারও আলোচনায়, পুতিনের শত্রুদের রহস্যময় মৃত্যু। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার এক জেলে মৃত্যু হয় পুতিনের কট্টর সমালোচনাকারী এই রাজনৈতিক নেতার।

একসময়ের গোয়েন্দা কর্মকর্তা পুতিনের আমলে, প্রথম রহস্যজনক মৃত্যু হয় আলেক্সান্ডার লিটভিনেনকোর। ২০০৬ সালে ব্রিটেনে রেডিওঅ্যাক্টিভ পোলোনিয়াম-২১০ বিষপ্রয়োগের শিকার হন সাবেক রুশ গোয়েন্দা। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নেয়া আলেক্সান্ডারের মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় হয় আন্তর্জাতিক মহলে। তদন্তে দায়ী করা হয় রাশিয়াকে।

প্রায় ১ যুগ পর আবারও বিষ প্রয়োগে হত্যার ঘটনায় আলোড়ন ওঠে। ২০১৮ সালে নোভিচক নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগে হত্যা করা হয় আরেক রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে। পুতিনের গোপন তথ্য ফাঁসসহ পশ্চিমাদের সহযোগিতার অভিযোগ ছিল স্ক্রিপালের বিরুদ্ধে।

রাশিয়ার ভেতরে বাইরে পুতিনের সমালোচকদের এমন পরিণতির বহু ঘটনা রয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, সেনা কর্মকর্তা কে নেই এই তালিকায়। এরমধ্যে ২০১৫ সালে গুলি করা হত্যা করা হয় সাবেক ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী বরিস নেমেস্তভকে। রহস্যজনক মৃত্যু হয় সেনা কর্মকর্তা জেনারেল গেনেডি লপিরভেরও।

বেশিরভাগ সময়ই নিজ বাড়িতে বা কোনো হোটেলের কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় পুতিনের শত্রুদের। কখনও আততায়ীর গুলিতে হত্যা করা হয়েছে তাদের। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব মৃত্যুর রহস্যের হয়নি কোনো কুল কিনারা।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply