রাবিতে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ জোহা দিবস পালিত

|

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার শাহাদাৎবার্ষিকী এবং শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহীদ জোহার সমাধি ও স্মৃতিফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় তাকে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপাচার্য বলেন, ১৯৬৯ সালের আজকের দিনে ড. শামসুজ্জোহাকে হত্যা করে পাকসেনারা। আর এর পরেই দেশে চলমান আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে উঠে। তিনি দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল, বিভাগ, শিক্ষক সমিতি, রাবি সাংবাদিক সমিতি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তার সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘জোহা স্মারক বক্তৃতা-২০২৪’ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার বিষয় ছিল ‘আমাদের শিক্ষা ভাবনা’।

সভায় স্মারক বক্তা সাবেক শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ ড. জোহা চেয়েছিলেন বাঙালি জাতি টিকে থাকুক, অগ্রগতি হোক, বাঙালি জাতির সংস্কৃতি অপসংস্কৃতিতে পরিণত না হয়ে জাগরুক থাক। তাই নিজের জীবন দিয়ে স্বাধীনতার গতিকে বেগবান করেছিলেন ১৯৬৯ সালের আজকের এই দিনে।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে শহীদ শামসুজ্জোহা হল ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, ড. জোহা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। তিনি ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নিহত হন। পাকিস্তানি সেনাদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েই তিনি শহীদ হন। ড. জোহা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রিডার (প্রক্টর) পদেও দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply