খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে আরও একজন আহত

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক বাঙালি তরুণ গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার ((১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার মরাটিলা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ তরুণের নাম মো. নাসির। তিনি স্থানীয় হেডম্যানটিলা এলাকার মো. হানিফের ছেলে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্র জানায়, মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি থেকে কাজ শেষ করে দুইটি মোটরসাইকেলে ৪ জন তরুণ পানছড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় মরাটিলা নামক এলাকায় পৌঁছালে ৪ থেকে ৫জন অস্ত্রধারী মোটরসাইকেল থামাতে ইশারা দেয়। এতে একটি মোটরসাইকেল থামালেও অপরটি চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে গুলি করে। এতে মোটরসাইকেলটিতে থাকা নাসির গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা চলে গেলে গতিরোধ করা মোটরসাইকেলের আরোহীরা স্থানীয়দের সহায়তায় নাসিরকে পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়।

ঘটনার সময় আব্দুল হালিম নামে একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে রাত ১০ টার পর তাকেও মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

পানছড়ি থানার ওসি কর্মকর্তা শফিউল আজম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা শোনার পর এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন ওসি।

এদিকে, এ ঘটনার জন্য পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ-প্রসীত গ্রুপ) দায়ী করা হচ্ছে স্থানীয়ভাবে। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে সংগঠনটির কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পানছড়িতে গত ১১ ডিসেম্বর পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ-এর অর্ন্তদ্বন্দ্বে একাংশের (প্রসীত গ্রুপ) চার নেতার হত্যার পর থেকে বাজার বয়কটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে সংগঠনটি। একইসাথে সন্ধ্যা ৬টার পর পানছড়িতে সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়। এরপর থেকেই পানছড়ি উপজেলা সদর ছাড়া সীমান্তবর্তী ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পর্যন্ত কয়েকদফায় বাঙালি শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আহতও হয়েছেন কয়েকজন। এর আগে, গত ২৯ ডিসেম্বর উপজেলার লোগাং ইউপির হারু বিল এলাকায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে দুই শ্রমিক গুরুতর আহত হন।

/এনকে  


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply