ভ্যান ডাইকের শেষ মুহূর্তের গোলে চেলসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

|

ছবি: সংগৃহীত

শিরোপার মঞ্চে সমানে সমান লড়েছিল দুই ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুল ও চেলসি। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে খেলা গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে। গোলপোস্ট আর অফসাইড বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল লিভারপুল ও চেলসির জন্য। শেষ পর্যন্ত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিলেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। কর্নার থেকে ভেসে আসা এক হেডেই নিশ্চিত হলো লিভারপুলের ইংলিশ লিগ কাপের শিরোপা।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনালে চেলসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড দশমবার লিগ কাপে চ্যাম্পিয়ন হলো লিভারপুল। দলের সেরা স্ট্রাইকার মোহাম্মদ সালাহ, ফরোয়ার্ড দারউইন নুনেস, অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ড, গোলরক্ষক আলিসনসহ আরও অনেক খেলোয়াড় চোট পেয়ে বাইরে। তাদেরকে ছাড়াই ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক পারফরম্যান্স উপহার দেয় লিভারপুল।

ব্লুজদের রক্ষণভাগে টানা আক্রমণও করতে থাকে অলরেডরা, যদিও তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না ক্লপ শিষ্যরা। বরং আচমকাই ২০তম মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ পেয়ে যায় চেলসি। গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন কোল পালমার। তবে তার জোরালো শট দারুণ নৈপুণ্যে রুখে দেন লিভারপুলের দ্বিতীয় সেরা গোলরক্ষক কুইভেন কেলাহার।

ম্যাচের ৩১ মিনিটে চেলসিকে লিড এনে দেন রাহিম স্ট্রার্লিং। তবে নিকোলাস জ্যাকসন অফসাইডের ফাঁদে পড়ায় গোল বঞ্চিত হয় চেলসি। এরপর লিভারপুলকে হতাশ করে পোস্ট। ৪০তম মিনিটে অ্যান্ডি রবার্টসনের ক্রসে কোডি গাকপোর হেড চেলসি কিপার জোর্জে পেত্রোভিচকে ফাঁকি দিলেও পোস্টে আঘাত করে। পরে আর কোনো দলই পারেনি কারো রক্ষণভেদ করতে। গোলশূন্য সমতাতেই বিরতিতে যায় দু’দল।

বিরতির পরও লড়াই চলেছিল সমানে-সমান। ৬২ মিনিটে অবশ্য জালের দেখা পেয়েছিল লিভারপুল। দুর্দান্ত হেডারে চেলসির রক্ষণভেদ করেন ভ্যান ডাইক। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়েন ওয়াতারু এন্দো। ফলে গোলবঞ্চিত হয় লিভারপুল। এই ভুলের মাশুল দিতে বসেছিল অলরেডরা। ৭৭তম মিনিটে লিড নিতে পারতো চেলসি। পালমারের পাস থেকে কনর গালাঘেরের শট লক্ষ্যে ছুটছিল। কিন্তু দূরের পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ৮৫তম মিনিটে চেলসির এই দু’জন আরেকটি সুযোগ তৈরি করেন। এবার দুর্দান্ত সেভে তাদের ব্যর্থ করেন কেলেহের। নির্ধারিত সময়ও শেষ হয় গোল শূন্যসমতায়।

অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে জাল অক্ষত থাকে চেলসির। জেইডেন ড্যানসের হেড কোনোমতে এক হাত দিয়ে বাইরে পাঠান পেত্রোভিচ। নির্ধারিত সময়ের শেষভাগে দারুণ আক্রমণাত্মক খেলা চেলসি অতিরিক্ত সময়ে ফের ছন্দ হারিয়ে ফেলে। এই ৩০ মিনিটে তেমন কিছুই করতে পারেনি দলটি।

দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ম্যাচ যখন টাইব্রেকারে গড়ানোর পথে, ঠিক তখনই দলকে উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন ভ্যান ডাইক। সিমিকাসের কর্নার থেকে ভ্যান ডাইক যেভাবে মাথা ছুঁয়ে বল জালে পাঠালেন, তা চেলসি গোলকিপার দোর্দে পেত্রোভিচের চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ওয়েম্বলিতে তখন লিভারপুল সমর্থকদের গর্জন। নিজের বিদায়ী মৌসুমে ইয়ুর্গেন ক্লপ জিতে নিলেন তার প্রথম শিরোপা। এ জয়ে প্রথম ক্লাব হিসেবে রেকর্ড ১০ বার লিগ কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তিও গড়লো অলরেডরা।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply