সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ নিয়ে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনেও বানোয়াট, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এমনটা জানিয়ে প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি সংবাদ মাধ্যেমে পাঠিয়েছেন আইএসপিআর।
প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জনাব ডাঃ জাফরুল্লাহ ইতিপূর্বে “”সময়” টেলিভিশনের টকশোতে তার প্রদত্ত বক্তব্যে সেনাবাহিনী প্রধান সম্পর্কে” অসাবধানতাবশত ভুল তথ্য উল্লেখ এবং ”ভুল শব্দ চয়ন ও শব্দ বিভ্রাট হয়েছিল’ মর্মে উল্লেখ করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরো কিছু তথ্য উপস্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার প্রদত্ত বক্তব্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পোর্টালসহ প্রায় সকল জাতীয় দৈনিকে পরদিন প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত কিছু বিষয়ে সেনা সদরের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে এবং এ বিষয়ে সেনাসদর হতে তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করা হলো। কারণ ডাঃ জাফরুল্লাহর সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যে পূনরায় কিছু বানোয়াট, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “”আলোচনা কালে আমি দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এম এ আজিজ সম্পর্কে অসাবধানতাবশত একটি ভুল তথ্য উল্লেখ করেছিলাম।” ডাঃ জাফরুল্লাহ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ সম্পর্কে যা যা বলেছেন তা সবই ভুল।
ডাঃ জাফরুল্লাহ শব্দ চয়নে ভুল করে ‘কোর্ট অব ইনকোয়ারি’ এর স্থলে কোর্ট মার্শাল’বলেছেন – তার এই তথ্যটিও সঠিক নয়। ব্যক্তি আজিজের বিরুদ্ধে কখনও কোর্ট মার্শাল তো হয়ইনি বরং জেনারেল আজিজের সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য চাকুরী জীবনে তাঁর বিরুদ্ধে কোন কোর্ট অব ইনকোয়ারিও হয়নি। বস্তুত পক্ষে ডাঃ জাফরুল্লাহর বক্তব্যটি চরম মিথ্যাচারের শামিল। ইতিপূর্বে সময় টিভিতে ভুল, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার ও দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে পুনরায় অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ও চতুরতার সাথে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে জেনারেল আজিজ আহমেদ এর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন।
প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে টকশোতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড এর উৎস হিসেবে সুকৌশলে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার একটি চেষ্টা করেছিলেন যা ছিল দুরভিসন্ধিমূলক। উল্লেখ্য যে,বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে কখনো কোন গ্রেনেড হারানো, চুরি বা বিক্রি হওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণার আগের দিন টেলিভিশন লাইভ টকশোতে এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদান উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অসত্য বক্তব্যকে সংশোধনের কোন চেষ্টা করেননি। তাঁর সামগ্রিক বক্তব্যে এটা স্পষ্টত যে তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত সকল পদবীর সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সেনাবাহিনী প্রধানের ভাবমূর্তি এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক দেশ প্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন।
Leave a reply