ক্যারি-মার্শ জাদুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া

|

এক যুগের আক্ষেপ ঘুচলো না নিউজিল্যান্ডের। ২০১১ সালের পর অজিদের বিপক্ষে জয়ের দ্বারপ্রান্তে প্রায় চলেই গিয়েছিল তারা। কিন্তু তা আর হয়নি। অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল মার্শের ব্যাটে ভর করে স্বাগতিকদের ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করলো প্যাট কামিন্সের দল।

ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে তৃতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিলো ৪ উইকেটে মাত্র ৭৭ রান। হাতে দুই দিন, কিউইদের জিততে প্রয়োজন ৬ উইকেট। দলীয় ৮০ রানে হেড বিদায় নিলে ২৭৯ রানের জয়ের লক্ষ্য অজিদের কাছে এক পর্যায়ে মরীচিকার মতো মনে হয়েছিল।

হেডকে আউট করার পর সাউদির উল্লাস। কিন্তু ম্যাচ শেষে কেটে গেছে সেই আনন্দের রেশ।

কিন্তু এরপরের গল্পটা মার্শ-ক্যারির। ১৪০ রানের সেই পার্টনারশিপে ভর করে অস্ট্রেলিয়া নতুন করে আশায় বুক বাঁধে। ৮০ রান করে আউট হন মিচেল মার্শ। কিন্তু পরপর ২ উইকেট পড়ে যাওয়ায় আবারও শঙ্কা। এবার অধিনায়ক কামিন্সকে নিয়ে জুটি বেঁধে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যারি। মাত্র ২ রানের জন্য শতকের দেখা না পেলেও তার অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংস এবং ম্যাচে ১০টি ক্যাচ তাকে ম্যাচসেরার পুরষ্কারটা এনে দেয়। প্যাট কামিন্সের ব্যাট থেকে আসে গুরুত্বপুর্ণ ৩২ রান।

মিচেল মার্শ খেলেন ৮০ রানের দারুন এক ইনিংস।

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ১৬২ রানের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ করে ২৫৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা ৩৭২ রান করলেও জেতার জন্য ২৭৯ রানের টার্গেট পায় অজিরা। চতুর্থ ইনিংসে আড়াইশ কিংবা তার বেশি রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়া এর আগেও জিতেছে ১৯ বার। এ নিয়ে ২০ বার জিতলো তারা। অপরদিকে ঘরের মাঠে সুযোগ পেয়েও অজিদের হারানোর স্বপ্নটা আরও দীর্ঘতর হতে থাকলো কিউইদের জন্য।

অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও অ্যালেক্স ক্যারির জয় উদযাপন।

উল্লেখ্য, ২ ম্যাচ সিরিজে ১০১ রান ও ১৭টি উইকেট নিয়ে সিরিজসেরার পুরষ্কার ওঠে ম্যাট হেনরির হাতে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দিকে আরও একটু এগিয়ে গেলো অজিরা। ২ ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শীর্ষে রয়েছে ভারত।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply