মোহাং আইয়ুব বাচ্চু নামে শুরু প্রথম অ্যালবাম

|

সংগীতের জাদুকর আইয়ুব বাচ্চু। পাড়ায় বন্ধুদের সাথে গান গাইতে গাইতে স্বপ্ন দেখেন শিল্পী হওয়ার। সেই রবিনের পেশাদার সঙ্গীতজগতে যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের সাথে ১৯৭৮ সালে। দুবছর পর যোগ দেন সোলস ব্যান্ডে।

সোলসে দীর্ঘ ১০ বছর গিটার বাজিয়েছেন বাচ্চু। তবে তার মধ্যে যে গায়ক সত্ত্বাও ছিলো, তার কী হবে। ব্যান্ডের পাশাপাশি তাই ১৯৮৬ সালে সলো ক্যারিয়ার শুরু করেন আইয়ুব বাচ্চু।

প্রথম সেই অ্যালবামের নাম রক্ত গোলাপ। অ্যালবামটি বের করে চট্টগ্রামের জহুর মার্কেটের একটি ক্যাসেটের দোকান। নাম জাহিদ ইলেকট্রনিক্স। ব্যান্ড শিল্পী হলেও আইয়ুব বাচ্চুর অভিষেক অ্যালবামটি ছিলো আধুনিক গানের ধাঁচের। ক্যাসেটের গায়ে তার নাম লেখা ছিলো “মোহাং আইয়ুব বাচ্চু”। ছিলো তরুন বাচ্চুর ছবি, যার মাথা ভর্তি ঝাকড়া চুল।

সমসাময়িক অডিও বাজারে তেমন নাড়া দিতে না পারলেও রক্ত গোলাপের ‘অনামিকা’ আর ‘রাত কত রাত’ গান দুটি বেশ সমাদর পায়। সাফল্যে হাতে না ধরা দিলেও দমে যাননি বাচ্চু। পরের বছর সোলসের ৩য় অ্যালবাম “মাটি মানুষের কাছাকাছি” অ্যালবামে জায়গা পায় তার গাওয়া একটি গান। এরপর ১৯৮৯ সালে আসে আইয়ুব বাচ্চুর দ্বিতীয় অ্যালবাম ময়না। তারপর শুরু এলআরবি যুগ। মোহাং আইয়ুব বাচ্চু হয়ে ওঠেন রক লিজেন্ড এবি।

নব্বইয়ের দশক পুরোটাই আইয়ুব বাচ্চুর আকাশ ছোয়ার গল্প। তিনি যখন সাফল্যের মধ্য গগণে, তার তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে আবারও রক্ত গোলাপ অ্যালবামটি নতুন মোড়কে রিলিজ করে জাহেদ ইলেকট্রনিক্ম।

এলআরবি’র আইয়ুব বাচ্চু অবশ্য তার প্রথম সলো অ্যালবামের বিষয়ে বরাবরই এড়িয়ে গেছেন। তবে রক্ত গোলাপ অ্যালবামের একটি গান, “রাত কত রাত” তিনি নতুন করে গেয়েছেন নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে, “কষ্টের ভালোবাসা” নামে মিক্সড অ্যালবামে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply