‘চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই পৃথিবী থেকে কেউ জীবিত ফিরে যাবেনা।’ কথাটি বলেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু।
গত ২৫ আগস্টে দেয়া তার ফেসবুক ওয়ালে ঝুলছে এই কথাটি।
দু মাস না পেরুতেই তিনি নিজেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ইদানীং মৃত্যু নিয়ে একটু বেশিই ভাবছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। ১১ সেপ্টেম্বর আইয়ুব বাচ্চু একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে।
ছবিটির বক্তব্য ছিল – নিজের সীমাকে জানো।
ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, এটাই সত্যবাক্য।
ছবিটির কমেন্টে অনেকেই মৃত্যু নিয়ে আবেগঘন কথা লিখেছিলেন। একজনের কমেন্টে এবি উত্তর দিয়েছিলেন সেই চিরসত্য কথাটি – প্রতিটি প্রানী কে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিতে হইবে।
আরেকটি স্ট্যাটাসে এবি লিখেছিলেন, ‘আসলে জীবন কারো জন্য থেমে থাকেনা।’
গত ১৬ আগস্ট ছিল এ কিংবদন্তির জন্মদিন। সে প্রসঙ্গে তিনি ফেসবুকে সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিখেছিলেন, এক জীবনে এর চেয়ে বেশি আর কি চাওয়া থাকতে পারে আমার মত একজন সাধারন মানুষের। আমি কৃতজ্ঞ।
প্রসঙ্গত, আউয়ুব বাচ্চু যখন গীটার হাতে নিয়েছিলেন তখন গীটার ও ব্যান্ডগানকে ভালোভাবে নেয়নি এ দেশের মানুষ।
গীটারকে একতারা, দোতারার শত্রু হিসেবেই দেখেছিল এ দেশের মানুষ সে সময়। এক টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে আইয়ুব বাচ্চু বলেছিলেন, আশির দশকের দিকে ঢাকায় কোনো এক গানের অনুষ্ঠানে গিটার বাজিয়েছিলেন তিনি।
তখন দর্শকদের কেউকেউ বলেছিলেন, কী আওয়াজ হচ্ছে? ভ্যামভ্যাম।
সেখান থেকেই আইয়ুব বাচ্চু তার সেই গিটারের সূরের মূর্ছনায় কয়েক যুগ মাতিয়ে রেখেছিলেন সংগীত প্রেমীদের।
কোটি কোটি ভক্তদের রেখে ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান।
Leave a reply