ইসরায়েলে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান মার্কিন সিনেটরের

|

সিনেটর চাক শুমার। ছবি: সিএনএন।

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক শান্তিকে হুমকির মুখে ফেলার অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে রীতিমতো তুলোধুনো করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সিনেটর চাক শুমার। সিনেটে দেয়া ভাষণে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতেই মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। পরিবর্তন আনার জন্য ইসরায়েলে নতুন নির্বাচন দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি। শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর চাক শুমার। গেল ৫ মাস ধরে গাজায় ইসরায়েল তাণ্ডব চালিয়ে আসলেও এ ইস্যুতে তেল আবিবের নীতিকেই সমর্থন দিয়ে আসছিলেন মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ এই নেতা। তবে হঠাৎ করেই সুর বদল করলেন তিনি।

সিনেটর চাক শুমার বলেন, গাজায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক জনগণ হতাহত হচ্ছে। যার কারণে তেল আবিব মিত্রদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। এমনকি একঘরেও হয়ে পড়তে পারে ইসরায়েল। মনে হচ্ছে, নেতানিয়াহু পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ইসরায়েলের নিজস্ব নেতা বেছে নেয়ার অধিকার রয়েছে। তাই দেশটির নেতৃত্ব পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। আমার মতে নির্বাচনের মাধ্যমেই এই পরিবর্তন আনা যায়।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুণ

শুমারের মতো প্রবীন এবং প্রভাবশালী নেতার এমন মন্তব্য চলছে তোলপাড়। এ ধরণের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে তেল আবিব। অন্যদিকে, শুমারের বক্তব্যের দায় নিতে নারাজ ওয়াশিংটনও। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এ ধরণের মন্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত, এর সাথে বাইডেন প্রশাসনের কোনো সম্পর্ক নেই।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, মার্কিন প্রশাসনের আলাদা একটি অংশ কংগ্রেস। কিন্তু এখানকার সব সদস্যের বক্তব্যই বাইডেন প্রশাসনের; এমনটা মনে করার সুযোগ নেই। চাক শুমার প্রবীন একজন নেতা। তবে তার মন্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত চিন্তার প্রতিফলন। এর সাথে মার্কিন প্রশাসনের কোনো সম্পর্ক নেই।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত মাইকেল হেরজগ বলেন, ইসরায়েল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি আমরা। এ অবস্থায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরীন ইস্যুতে এ ধরণের মন্তব্য কাম্য নয়। বিশেষ করে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদের কাছ থেকে।

এর আগে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে নিহত হয় প্রায় ১২শ’ ইসরায়েলি। এরপর থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply