সিনেমা দেখে অস্ত্রের প্রতি অনুপ্রাণিত হন রায়হান শরিফ

|

ছবি: সংগৃহীত।

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, সিরাজগঞ্জ :

বলিউডের সুপারহিট সিনেমা অব-তাক ছপ্পান। সিনেমায় ইন্সপেক্টর সাধু আগাশ’র চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছিলেন খ্যাতিমান অভিনেতা নানা পাটেকর। তবে এবার বলিউডে নয় বাস্তবেই হয়েছে এমন ঘটনা। সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ছাত্রকে ক্লাসে গুলি করা শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ অনুপ্রাণিত হয়েছেন এই চরিত্রে।

জানা গেছে, ওই সিনেমা দেখার পর থেকেই তার অস্ত্র ও গুলি কেনার নেশা হয় তার। শখের বশে অস্ত্র-গুলি কিনে সংগ্রহ করতেন তিনি। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আরও কিছু অস্ত্র কেনার পরিকল্পনাও ছিল তার। 

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি জুলহাজ উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানান, সকালে রায়হান শরীফকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। পরে বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জুলহাজ উদ্দীন বলেন, হিন্দি সিনেমা অব-তাক ছপ্পান সিনেমা দেখেই মূলত এমন পরিকল্পনা করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই অস্ত্রের ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছিলেন। তবে উপযুক্ত সোর্স না পাওয়ায় অস্ত্র কিনতে পারছিলেন না। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাজশাহী শহরে তার পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকায় এক অস্ত্র কারবারির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে নিজেই কুষ্টিয়া গিয়ে প্রথমে একটি অস্ত্র কেনেন রায়হান। গত ডিসেম্বর মাসে কেনেন আরও একটি অস্ত্র। সেখান থেকে তিনি কেনেন গুলিও।

তিনি আরও বলেন, অনলাইনে ছবি দেখে বিদেশি চাকু সংগ্রহ শুরু করেন তিনি। মূলত শখের বশেই এসব করতেন ওই শিক্ষক। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আরও কিছু অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা ছিল তার। তবে অস্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ কিছু করার পরিকল্পনা ছিল কিনা এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত রায়হানের কাছে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে একজনের নাম পাওয়া গেছে। এই চক্রে আরও কেউ রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাওয়া গেছে। তিনি যার কাছ থেকে অস্ত্র কিনেছেন, ওই ব্যক্তি একজন পেশাদার কারবারি বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে গ্রেফতার হন শিক্ষক রায়হান শরীফ। ঘটনার পরের দিন গত ৫ মার্চ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply