ম্যাচ হারায় প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের পেটালেন সমর্থকরা

|

ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেটকে জেন্টলম্যান্স গেইম বলা হলেও, ফুটবলকে বলা হয় কিং অফ স্পোর্টস। এই দুই খেলায় বিস্তর ফারাক থাকলেও নেই জনপ্রিয়তার কোনো কমতি। ক্রিকেটে সমর্থকরা খুব বেশি উগ্র না হলেও, আগ্রসী আক্রমণে এগিয়ে থাকে ফুটবল। তবে এবার ফুটবলারদেরকে পিটিয়ে খবরের পাতায় নাম লেখালো তুরস্ক।

তুরস্কের শীর্ষ লিগে চলতি মৌসুমে মারামারি আর সংঘর্ষের বিষয়টি এখন পরিণত হয়েছে নিয়মিত ঘটনায়। গত সোমবার এক ম্যাচে মুখোমুখি হয় ফেনারবাচে ও ট্রাবজনস্পোর। এই ম্যাচে ৩-২ গোলের জয় পায় ফেনারবাচে।

আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। ম্যাচ শেষে সঙ্গে সঙ্গে মাঠে ঢুকে যান ট্রাবজনস্পোরের ভক্তরা। কেউ কেউ তো পেটানোর উদ্দেশ্যে তেড়ে যাচ্ছিলেন ফুটবলারদের দিকে। যা ধরা পড়ে এসময় তোলা বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে। যেই ভিডিওটি ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

একপর্যায় দেখা যায়, ফেনারবাচের বেলজিয়ান ফুটবলার মিচি বাতসুয়াই এক সমর্থককে লাথি মারছেন। একই সময় ক্লাবটির আরেক ফুটবলার ব্রাইট ওসাই স্যামুয়েল ঘুষি মেরেছেন ট্রাবজনস্পোরের অন্য সমর্থককে। তবে থেমে থাকেনি তারাও। কর্নার ফ্ল্যাগ নিয়ে কেউ শাসাচ্ছেন, আর একজনতো ফেনারবাচের গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচকে ঘুষিও মেরে বসেন।

এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এমন ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তুর্কি ফুটবল কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন ফিফা সভাপতি। সেই অনু্যায়ী এই ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন, তুরস্কে’র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া।

এর আগে, ২০১৬ সালে ট্রাবজনস্পোরের এক সমর্থক রেফারিকে আক্রমণ করায় বাতিল করা হয়েছিল ম্যাচ। ২০১৫ সালে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে এক বন্দুকধারীর আক্রমণের শিকার হয় ফেনারবাচের বাস। আর ২০১৪ সালে সমর্থকেরা মাঠে নানা জিনিস ছুঁড়ে মারার কারণে ফেনারবাচে ও ট্রাবজনস্পোরের ম্যাচ বিরতির সময় স্থগিত করা হয়।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply