‘পজিডোন এইচ-টেন’। যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়ে উঠেছে এই নজরদারি ড্রোন। দুর্গম এলাকায় রুশ বাহিনীর গোপন ঘাঁটি সহজেই খুজে পেতে জুড়ি নেই এই ড্রোনের। সেনা, ট্যাংক, রকেট ও কামানের অবস্থান নিশ্চিত করা হচ্ছে খুব সহজেই। তারপরই চলে হামলা।
ইউক্রেন সেনাবাহিনীর একজন বলেন, এই ড্রোনের কাজ হলো সামরিক বাহিনীর জন্য টার্গেট খুঁজে বের করা। ভারী অস্ত্র নিয়ে যখন শত্রুপক্ষ হামলা করে, কখনও কখনও তা ঠেকানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় প্রাণহানিও হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে ড্রোন ব্যবহার করে নিজেদের সেনাদের জীবন রক্ষা করা।
৬ ফুট দীর্ঘ এই ড্রোনে রয়েছে শক্তিশালী ক্যামেরা, রাডার ও সেন্সর। যা দিয়ে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার দূরেও ভিডিও বা ছবি পাঠানো সম্ভব। দিনে কিংবা রাতে দুই সময়ই সমানভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে পজিডোন। এরপর সেটি পাঠিয়ে দেয়া হয় কমান্ড সেন্টারে। সেই তথ্য পাঠানো হয় লড়াইরত ইউনিটের কাছে। তারপর রুশ বাহিনীর অবস্থানে চালানো হয় হামলা।
ড্রোনটির তত্ত্বাবধান করা একজন বলেন, এটার ক্যামেরা অসাধারণ। দিনে ও রাতে যেকোনো সময় কাজ করতে পারে এটি। এই ড্রোনের মাধ্যমে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি সরাসরি সম্প্রচার যায় কমান্ডারদের কাছে। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি অনুযায়ী দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ সমরাস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রোন। পশ্চিমা ও নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী ড্রোনের পাশাপাশি তুর্কি বায়রাক্তার ড্রোনও ব্যবহার করছে ইউক্রেন। যা বড় মাথাব্যাথায় পরিণত হয়েছে রাশিয়ার।
/এএম
Leave a reply