গাজা উপত্যকায় ৬ মাস পেরুলো ইসরায়েলি আগ্রাসনের। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে নেই কোনো অগ্রগতি। আজ রোববার (৭ এপ্রিল) মিসরের রাজধানী কায়রোয় দুপক্ষের প্রতিনিধিদের সাথে মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের বৈঠক হওয়ার কথা। তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এখনও নিজ নিজ অবস্থানে অনড় উভয়পক্ষ।
হামাসের দাবি অনুযায়ী, ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে নারাজ নেতানিয়াহু প্রশাসন। গাজায় ত্রাণ সরবরাহ ইস্যুতেও নেই অগ্রগতি। পশ্চিমাদের চাপে ইরেজ ও বেইত হানুন ক্রসিং খুলে দেয়ার কথা জানালেও প্রবেশ করেনি ত্রাণবাহী ট্রাক।
তবে হামাস জানিয়েছে, কায়রোতে অনুষ্ঠেয় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নেবে তারা। আলোচনার মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিষয়টিও থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য চাপ বাড়ছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর। তার পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিক।
গত ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের ভূখণ্ডে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। জিম্মি করে আড়াইশর বেশি মানুষকে। কয়েক দফা যুদ্ধবিরতিতে মুক্তি পায় ১১০ জন। এরপর সব দিক থেকে অভিযান চালায় ইসরায়েল।
সেই অভিযানের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। এ ছয় মাসে ৩৩ হাজারের বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের একটি বড় অংশ নারী ও শিশু। গাজার বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজার প্রায় ২৩ লাখ মানুষের সবাই বাস্তুচ্যুত।
/এএম
Leave a reply