এবারের উপজেলা নির্বাচনে যত নতুন নিয়ম

|

ঈদের পরই শুরু হবে উপজেলা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। ভোটের এই লড়াই ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এবারের উপজেলা নির্বাচনের বিধিমালায় ৩১টি সংশোধনী এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথমবারের মতো এসব আইন প্রয়োগ করতে যাচ্ছে ইসি।

এবারের নির্বাচনে বেড়েছে প্রার্থীদের জামানত। চেয়ারম্যান পদের ক্ষেত্রে জামানত ৮০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে। ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত দিতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। যা আগে ছিল ১০ হাজার টাকা। এছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেয়ার বিধান ছিল, এটি তুলে দেয়া হয়েছে।

প্রার্থীদের কর প্রদানও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগে আয়কর নিবন্ধনকারী হতে হতো, এখন আয়কর অবশ্যই দিতেই হবে বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ হিসেবে ‘হিজড়া’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতা। এছাড়া ছাপানো যাবে রঙিন পোস্টারও।

এছাড়া, অনেক প্রার্থীর প্রশ্ন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা জেলা পরিষদের সদস্যরা পদে থেকে উপজেলায় ভোট করতে পারবে কি না? ২০১৪ সালে তা পারা গেলেও ’১৯-এ পদে থেকে ভোট করতে পারেননি ইউপি চেয়ারম্যানরা। এবারও পদত্যাগ করে নির্বাচন করতে হবে বলে জানালেন ইসির অতিরিক্ত সচিব।

অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ১৯৯৮ এর ৭ ধারায় প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়ে বলা রয়েছে। তাতে রয়েছে, স্থানীয় সরকার কাঠামোর কোনো প্রতিনিধি অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য বা জেলা পরিষদের সদস্যদের পদত্যাগ করে নির্বাচন করতে হবে।

তবে, পদে থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা নির্বাচন করতে পারবেন। চতুর্থ, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও পদে থেকে নির্বাচন করতে পেরেছিলেন তারা।

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৪ ধাপে। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু ৪ মে। এবার প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হবে ঈদের পরপরই ১৫ এপ্রিল।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩-এর সর্বশেষ সংশোধিত বিধিমালার প্রজ্ঞাপন দেখতে লিঙ্কে ক্লিক করুন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply