শেষ মুহূর্তের ঈদ যাত্রায় সড়ক-রেল-নৌপথে চাপ কম

|

শেষ সময়ের ঈদ যাত্রায় বাস-লঞ্চে তেমন চাপ নেই। যারা আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) বাড়ি যাচ্ছেন, তারা খুব স্বাচ্ছন্দে যাত্রা করতে পারছেন। গাবতলীসহ সবগুলো বাস টার্মিনালে নেই চিরচেনা ভিড়।

বাস চালক ও হেল্পাররা জানালেন, আজ তেমন যাত্রী নাই। আর যাত্রীরা জানান, রোজা ৩০টি হওয়ায় স্বাছন্দে আজ বাড়ি যেতে পারছেন তারা।

কেউ কেউ আবার জানিয়েছেন, রাজধানীতেই ঈদ করার সিদ্ধান্ত ছিল, তবে আজ রাস্তা যানজটমুক্ত হওয়ায় শেষমেষ বাড়ির পথ ধরেছেন।

যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী তোলায় গতি কমছে বাসার চাকার।

এদিকে, সড়ক-মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ অনেকটাই কম। তবে, সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলছে কিছুটা ধীরগতিতে। বাইপাইল, জিরানী, চন্দ্রাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলার কারণে তৈরি হচ্ছে যানজট। বঙ্গবন্ধুর সেতুর পূর্বপাড়ে অবশ্য স্বাভাবিক যান চলাচল। এছাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নেই যাত্রীর চাপ।

সদরঘাটেও লঞ্চে যাত্রীদের চাপ দেখা যায়নি আজ। গতকাল রাত ১২টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে ২৮টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। ঢাকায় এসেছে ৪৬টি। যাত্রী চাপ এখনও কম। যাত্রী সুবিধার জন্য আগেই পন্টুনে লঞ্চ ভিড়িয়ে রাখা হচ্ছে। যাত্রীপূর্ণ হলেই নৌযানগুলো ছেড়ে যাচ্ছে নিজ গন্তব্যে।

লঞ্চ মালিকরা বলছেন, পদ্মা সেতুর কারণে লঞ্চে যাত্রী চাপ কমে গেছে। তবে, স্বস্তির কথা মাথায় রেখে ঈদে অনেকেই ঝোঁকেন লঞ্চ যাত্রায়। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে লঞ্চগুলো যেনো না ছাড়ে সেজন্য ঘাটে চলছে সতর্কতামূলক মাইকিং।

এছাড়া, ঈদের আগে শেষ দিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে নেই তেমন যাত্রী চাপ। অধিকাংশ ঘরমুখো মানুষ এরইমধ্যে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন।

গতকাল সন্ধ্যার পর জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৃহস্পতিবার ঈদ ঘোষণা করে। তারপরই অনলাইনে আজকের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। তাই রাতে টিকিট কেটে আজ ট্রেনে চড়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকে।

সকাল থেকে কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে কয়েকটি ট্রেন। এতে যাত্রী চাপ অনেক কম দেখা গেছে। তাই যাত্রীদের কোনো হুড়োহুড়ি ছিল না। বগি, ছাদ কোথাও ছিল না যাত্রী চাপ। ঈদের আগের দিন এমন স্বচ্ছন্দে বাড়ি ফিরতে পেরে ভালো লাগার কথা জানান যাত্রীরা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply