বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধার করতে মুক্তিপণ হিসেবে সোমালিয়ান জলদস্যুদের দিতে হয়েছে ৫০ লাখ ডলার। দুইজন সোমালি জলদস্যুর বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক জলদস্যু তাদের জানিয়েছে, দু’দিন আগেই হাতে পৌঁছে মুক্তিপণের অর্থ। তারপর তারা সেগুলো নকল কি না যাচাই করে দেখেছে। আসল মুদ্রা নিশ্চিত হওয়ার পর নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে।
রয়টার্স আরও জানায়, মুক্তিপণ পাওয়ার পর ধীরে ধীরে জাহাজ থেকে সরে যায় দস্যুরা। সোমালিয়ার স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমেও প্রচার হয়েছে এ খবর।
যদিও বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) জানিয়েছেন, জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে মুক্তিপণ দেয়ার বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই। সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদের এত অল্প সময়ের মধ্যে মুক্তির ঘটনা নজিরবিহীন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেছেন, দস্যুদের ওপর আন্তর্জাতিক ও সোমালিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর চাপও ছিল। জাহাজসহ নাবিকরা এখন আরব আমিরাতের পথে রয়েছে। ১৯ তারিখ নাগাদ তারা আরব আমিরাত পৌঁছাতে পারেন। এরপর সেখান থেকে তারা বিমানযোগে বাংলাদেশে ফিরবেন।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা পরিবহন করে আরব আমিরাতের দিকে যাওয়ার সময় জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আব্দুল্লাহ। দীর্ঘ ৩২ দিন পর জাহাজটিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে আজ ভোরে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ জানায়।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জলদস্যুদের সঙ্গে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির ব্যাপারে চলমান সমঝোতা সফলভাবে শেষ হলে দস্যুরা জাহাজটিকে মুক্তি দেয়। তবে কত টাকা মুক্তিপণ দেয়া হয়েছে এ নিয়ে কিছু বলেনি।
/এমএন
Leave a reply