লিওনেল মেসির জার্সি খোলা সেলেব্রেশন আর জায়গাটা ন্যু ক্যাম্প নয়, তবুও তো গ্যালারি থেকে ভেসে আসবে হাততালি আর অভিনন্দন। তবে আজ থেকে সাত বছর আগে পৃথিবীতে একটা জায়গা ছিল যা এই সেলেব্রেশনেও চুপ হয়ে যাবার জন্য একেবারে মোক্ষম। সেটি সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। হ্যা, দিবারাত্রীর খেলা ২৩ এপ্রিল হলেও বাংলাদেশ সময় সেটি রাত ১২টা পার হয়ে যায়। তাই উপমহাদেশে সেটি আজকের দিন হিসেবেই বিবেচ্য।
২০১৬-১৭ মৌসুমের ৩৩ তম ম্যাচ ডে। শিরোপা নির্ধারণের জন্য ম্যাচটি মহাগুরুত্বপূর্ণ বটে। খেলা রিয়ালের মাঠে। মেসি-রোলানদো বিতর্ক তখন চরম আকারে। সেরকমই এক সন্ধ্যায় এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা। ম্যাচের ২৮ তম মিনিটে ক্যাসেমিরোর গোলে লিড পায় রিয়াল। তবে মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানেই দলকে সমতায় ফেরান মেসি। আর গোল না হওয়ায় ১-১ সমতায় শেষ হয় ক্লাসিকোর প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধে দুদলই আক্রমণাত্মক ভঙিতে খেলতে থাকে। ইভান রাকিটিচের গোলে বার্নাব্যুতে লিড পায় বার্সা। চরম আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে রিয়াল। রাকিটিচের গোলের চার মিনিটের মাথায় লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন রিয়াল অধিনায়ক রামোস। দশজনের রিয়াল আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগে জেমস রদ্রিগোজের গোলে দ্বিতীয়বার সমতা আসে ক্লাসিকোর স্কোরবোর্ডে।
অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিট। জর্দি আলবার পাসে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে নাভাসকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান মেসি। ডাগআউটে জিদান থেকে মাঠের রোনালদো-সিলভা সবার অনুশোচনা, কী এমন ভুল করল রিয়ালের রক্ষণভাগ। রামোসকে দেখা যায়নি, কারণ সে মাঠের বাইরে। মেসির সেই জার্সি খোলা সেলেব্রেশনে একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায় বার্নাব্যু। তবে এ সেলেব্রেশনের জন্য হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন মেসি। তাতে কী বা যায় আসে। ক্লাসিকোর উত্তাপে সেদিন আরেকটু রসদ জুগিয়েছিলেন মেসি।
সেই মেসি-রোনালদো আর নেই। নেই ক্লাসিকোর আগের উত্তাপ।
/এমএইচআর
Leave a reply