তীব্র গরমের মাঝেই প্রাক-প্রাথমিক ছাড়া সব স্কুল-কলেজ খুলেছে আজ। হিট অ্যালার্টের মধ্যেই শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। তবে কোথাও কোথাও প্রথম দিনে প্রায় ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুলে হয়নি অ্যাসেম্বলি। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে স্কুল-কলেজ খোলায় কিছুটা উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। তবে লম্বা ছুটির পর স্কুল খোলায় খুশি কিশোর-কিশোরীরা। শিশুদের ঘন ঘন পানি পান করা’সহ রোদে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষকরা। সেই সাথে মুখে ঘন ঘন পানির ঝাপটা দেয়ার তাগিদও দেয়া হয়েছে। শিক্ষকরা বলছেন, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা যাতে গাদাগাদি করে না বসে সে দিকে লক্ষ্য রাখা হবে। ত্রুটিপূর্ণ ফ্যান থাকলে মেরামত করা হবে সেগুলো। ঈদের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হয়। এখনও তাপপ্রবাহ না কমলেও শিক্ষণ ঘাটতির কথা মাথায় রেখে নানা নির্দেশনা দিয়ে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হয়।
অভিভাবকরা বলছেন, স্কু্ল বন্ধ থাকলে শিশুরা পড়ালেখা করতে চায় না। বলছেন, শিখন ঘাটতি পূরণে স্কুল কলেজ খোলা রাখার প্রয়োজন রয়েছে। তারা বলছেন সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে শ্রেণি কার্যক্রম সম্পন্ন করা দরকার, তাহলে গরমের অনুভূতি কম লাগতো।
শিক্ষকরা বলছেন, উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক আছে। আশা করছেন তারা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শিক্ষার্থী উপস্থিতি স্বাভাবিক হবে। বলছেন, শিখন ঘাটতি পূরণে ক্লাস চালু রাখা প্রয়োজন। এছাড়া, ক্লাসের ৫০ মিনিট সময় কমিয়ে বেশি সংখ্যক বিষয়ে পাঠদানের রুটিন সাময়িকভাবে করা হচ্ছে।
এটিএম/
Leave a reply