জার্মান ফুটবলের রীতিটা সবার চেয়ে আলাদা। প্রতিপক্ষের রক্ষণ কীভাবে ভাঙতে হয় সেটি বায়ার্ন মিউনিখের চেয়ে ভালো খুব কম দলই জানে। জটলা বরং তাদের জন্য জট খোলার চাবি। বায়ার্নে আছেন হ্যারি কেইন, যিনি চলতি মৌসুমে গোলমুখে হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য। ভাঙছেন একের পর এক রেকর্ড। সঙ্গে বাভারিয়ানদের পুরোনো ভৃত্য থমাস মুলার-লেরয় সানেরা তো আছেনই। তাইতো চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজাদের বধ করতে প্রস্তুত বাভারিয়ানরা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শেষ চারের প্রথম লেগে নিজেদের ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারানায় রিয়াল মাদ্রিদকে আতিথ্য জানাবে বায়ার্ন মিউনিখ। এ পর্যন্ত ২৬ বারের মোকাবিলায় রিয়ালের ১২ জয়ের বিপরীতে বায়ার্নের জয় ১১ ম্যাচে। এ পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, দুদলের দ্বৈরথ কতটা উত্তেজনাপূর্ণ ও হাড্ডাহাড্ডি হয়ে থাকে। যে কারণে অনেকটা অলিখিতভাবেই দুই জায়ান্টের দ্বৈরথ ‘ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো’র তকমা পেয়ে গেছে।
বাভারিয়ানদের জন্য স্বস্তির খবর, এই ম্যাচ দিয়ে ফিরছেন আলফানসো ডেভিস। শেষ আটের দ্বিতীয় লেগ তিনি খেলতে পারেননি নিষেধাজ্ঞার কারণে। তবে চোট নিয়ে অস্বস্তিতে আছেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা ও লিরয় সানে। মাঠে নামতে হলে আজ দুজনকেই ফিটনেস পরীক্ষায় উতরাতে হবে। তবে মাঠে নামা হচ্ছে না ম্যাত্থিস ডি লিখট, কিংসলে কোম্যান, ডায়োট উপামেকানো এবং সাচা বোয়ের।
সেমিফাইনালেও বলের পজিশন রিয়ালকে রাখতে দিয়ে আকস্মিক প্রতি-আক্রমণে ‘লস ব্লাঙ্কোস’ রক্ষণকে কাঁপিয়ে দেয়ার পথ নিতে পারে বায়ার্ন। শেষ পর্যন্ত পজেশন, শট কিংবা পাসিংয়ের সংখ্যা নয় ম্যাচটা জিততে হবে গোল করে। ফলে রিয়ালের পায়ে বল তুলে দিয়ে টুখেল যদি তাদের ক্লান্ত করার কৌশল নেন, তা মোটেই বিস্মিত হওয়ার মতো কিছু হবে না। আর্সেনালের বিপক্ষে এই কাজটাই করেছিল তারা।
মনে রাখা ভালো, এই মুহূর্তে ইউরোপের সবচেয়ে বিধ্বংসী গোলস্কোরারটি খেলেন বায়ার্নের হয়ে। হ্যাঁ, হ্যারি কেইনের কথাই বলা হচ্ছে। দলগতভাবে সাফল্য না পেলেও গোল করায় কেইন এ মৌসুমেও অপ্রতিরোধ্য। তার সঙ্গে জামাল মুসিয়ালা-লেরয় সানে-থমাস মুলাররা তো আছেনই। রিয়াল রক্ষণকে তাই বিরামহীন মার্কিং করে যেতে হবে।
জার্মানরা লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে খুবলে খেতে ভীষণ ভালোবাসে। উত্তাপের এ ‘ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো’তে অবশ্য শেষ পর্যন্ত যেই জিতুক, ফুটবল-রোমান্টিকদের চাওয়া থাকবে রুদ্বশ্বাস এক পয়সা উশুল ম্যাচের।
/আরআইএম
Leave a reply