পাবনা করেসপনডেন্ট:
পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় ৩ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যার দিকে সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের কালিরমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ভায়না এলাকার বাদশা প্রামাণিক, মতিন শেখ ও আব্দুল আওয়াল। অন্যদের তাৎক্ষণিক নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। আটকদের বিষয়েও বিস্তারিত জানা যায়নি।
পুলিশ ও নেতাকর্মীরা জানায়, সন্ধ্যার দিকে ভায়নার কালিরমোড় এলাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবের এক সমর্থকের সাথে কথা কাটাকাটির জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে আব্দুল ওহাবের সমর্থক ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে শাহিনের সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলিবর্ষণ করলে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ সবমিলিয়ে অন্তত পাঁচজন আহত হয়।
ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ির ওপরে শাহিনুজ্জামান শাহিনের লোকজন হামলা করেছে। আমার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের প্রতিরোধ করে। তাদের লোকজন কীভাবে আহত হয়েছে পুলিশ বলতে পারবে বলে জানান তিনি।
হামলার জন্য আমিন চেয়ারম্যানকে দায়ী করে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, ভোট নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আব্দুল মজিদ নামের তার এক সমর্থককে মারধর করে তারা। এটা নিয়েই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার লোকজনের ওপর গুলি চালানো হয়।
এ ব্যাপারে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্ত্রিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে।
/এনকে
Leave a reply