স্বর্ণযুগে জিম্বাবুয়ে ছিল বিশ্ব ক্রিকেটের সমীহ জাগানো দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখন চরম দুঃসময় কাটাচ্ছিল বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই প্রথম ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ্য পায় টাইগাররা। সময়ের পরিক্রমায় সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখে লাল সবুজের দল। ঠিক এই সময়ে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট আকাশ ঢাকা অনিশ্চয়তার মেঘে।
এমন এক সময়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলো অলরাউন্ডার জোনাথন ক্যাম্পবেলের। জিম্বাবুয়ের হয়ে তিনি যেতে চান বহু দূর। জনাথন ক্যাম্পবেল বলেন, জিম্বাবুয়ের হয়ে প্রথমবার খেলছি। এটা অসাধারণ এক অনুভূতি। নিজেকে জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত করতে পেরেছি। বাংলাদেশের দর্শকরা দারুণ। এখানে খেলতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দর্শক হয়েই থাকতে হচ্ছে ফ্লাওয়ার ভ্রাতৃদ্বয়, অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল, হিথ স্ট্রিক ও ব্রেন্ডন টেলরের উত্তরসূরিদের। বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া দলটার সঙ্গেই ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে টাইগাররা।
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারার পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ৬ উইকেটে হারে জিম্বাবুয়ে। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন জোনাথন। ক্যাম্পবেল বাঁহাতি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ ব্রেক বোলিং করেন। অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন এই ২৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
জনাথন ক্যাম্পবেল বলেন, আমি আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আজকের পারফরম্যান্সে বাবা খুব খুশি হবেন। আমি আমার ব্যাটিংটা উপভোগ করেছি। দারুণ পিচ ছিল। সিরিজটা ৩-২ জিততে চাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক দূর যেতে চাই।
সাত নম্বরে নেমে মাত্র ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৪টি চার ও ৩টি ছয়। বাবার মতোই বাম হাতে ব্যাট করা স্টাইলিশ এই অলরাউন্ডার জিম্বাবুয়ের হয়ে অর্জন করতে চান অনেক সাফল্য ছুঁতে চান পর্বতের চূড়া।
/আরআইএম
Leave a reply