ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে সিন্ডিকেট গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। এটি অধিকতর তদন্তের জন্য যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি তদন্তে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলকে দুই মাস সময় দেয়া হয়েছে। একাধিক সিন্ডিকেট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, সোমবার (৬ মে) সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে তদন্তের অগ্রগতি জানাতে তিন দিনের আলটিমেটাম দেয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন সাংবাদিকতা বিভাগের একটি ব্যাচের ২৮ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরীক্ষার ফল খারাপ করিয়ে দিয়েছেন এই শিক্ষক। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি একই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি বিভাগের আরেকজন শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন।
পরে গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ফলাফল ধস নামানোর অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে।
/আরএইচ
Leave a reply