দেশে বিরল উইলসন রোগের নতুন দুটি মিউটেশন শনাক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোলজি বিভাগ ও এনাটমি বিভাগের যৌথ গবেষণায় নতুন ধরনের বিষয়টি উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে বিএসএমএমইউ আয়োজিত ‘বাংলাদেশি উইলসন্স রোগীদের মধ্যে জেনেটিক পরিবর্তন এবং এর স্নায়বিক উপসর্গ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব হেলাল এবং অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু।
প্রতিবেদন তুলে ধরে ডা. লায়লা আনজুমান বানু বলেন, গবেষণায় আমাদের মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৮ জন এবং নারী ২২ জন। তাদের ছয়জন রোগীর মধ্যে ৩টি মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ২টিই বাংলাদেশে নতুন। তাদেরকে টার্গেট জিন থেরাপির মাধ্যমে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতি ৩০ হাজার জনে একজন উইলসন রোগে আক্রান্ত। সেই হিসাবে রোগীর সংখ্যা হবে ৬ হাজারের মতো। বিএসএমএমইউয়ে এপর্যন্ত আমরা প্রায় ২০০ জনের চিকিৎসা দিয়েছি। কারও মধ্যে এই রোগটি শনাক্ত হলে তাকে আজীবন চিকিৎসা নিতে হয়। সঠিকভাবে চিকিৎসা নিলে সারা জীবন ভালো থাকার সুযোগ রয়েছে। চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেলে এ রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
উইলসন ডিজিজ মূলত জিনগত সমস্যা। আক্রান্তদের অস্বাভাবিক হাত-পা নড়াচড়া, বুদ্ধি কমে যাওয়াসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের মতো আচরণ লক্ষ্য করা যায়। এই ডিজিজের বাহকদের মধ্যে বিবাহ বর্জনের পাশাপাশি বিয়ের আগে জিন পরীক্ষা করার তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।
/এএম
Leave a reply