তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন

|

প্রতীকী ছবি।

আবারও তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। সকাল থেকেই রোদে ভীষণ উত্তাপ। আজ শুক্রবার (১৭ মে) চলছে আবহাওয়া অফিস জারি করা ৪৮ ঘণ্টার সতর্কবার্তা।

সকাল থেকেই সূর্যের প্রখরতায় অনেক বেশি উত্তাপ অনুভূত হচ্ছে। এই গরমে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। জীবিকার তাগিদে তাপপ্রবাহের মাঝেও বের হতে হচ্ছে তাদের। রোদে পুড়ে পুড়ে জোগাড় করতে হচ্ছে খাদ্য। নিজের জন্য, পরিবারের জন্যও। তীব্র গরম আর ঘামে নাস্তানাবুদ অবস্থা প্রায় সবার।

বুধবার (১৫ মে) বিকেলে আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল এই ৫ বিভাগের ওপর দিয়ে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ১৮ মে থেকে দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

আবারও কেন তাপপ্রবাহ?

আবারও তাপপ্রবাহ কেন বেড়েছে, তা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান।

তিনি জানান, চলতি মাসের ৫-১২ তারিখ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কম ছিল। এরপর বৃষ্টিপাত কমে গেছে। ফলে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এছাড়া, এসময় দিন বড় হয় আর রাত ছোট হয় এবং সূর্য একদম মাথার ওপর চলে আসে। সূর্য কিরণের ঘণ্টা বেশি হওয়ার দরুণ ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

এ আবহাওয়াবিদ জানান, বছরের এই সময়ে দমকা বাতাস থাকে, বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত থাকে এবং তাপমাত্রা কমে যায়। বছরের এই সময়টিতেই কালবৈশাখী ঝড় হয়। এসময় বৃষ্টিপাত না হলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। আর কালবৈশাখী ঝড় হলে তাপমাত্রা দ্রুত গতিতে কমে যায়।

সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply