এশিয়ার বৃহত্তম চলচ্চিত্র উৎসবের মূল লড়াইয়ে কামারের ‘শিকলবাহা’

|

এশিয়ার বৃহত্তম চলচ্চিত্র উৎসব সাংহাইয়ের ‘গোল্ডেন গবলেট’ এর মূল প্রতিযোগিতায় নমিনেশন পেয়েছে কামার আহমাদ সাইমনের প্রতীক্ষিত ছবি ‘শিকলবাহা’। ইউরোপের অন্যতম সম্মানিত চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা জার্মানীর উইডেম্যান ব্রোস এবং বাংলাদেশের স্টুডিও বিগিং এর যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ছবি।

উৎসব কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই বছর সাংহাইতে প্রদর্শনের জন্য ১০৫টি দেশ থেকে ৩,৭০০টিরও বেশি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। যার মধ্যে মূল প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশ থেকে ‘শিকলবাহা’ ছাড়াও নির্বাচিত হয়েছে স্পেন, আর্জেন্টিনা, জার্মানী, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, রাশিয়া, কাজাখস্তান এবং ইরানের মাত্র ১৪টি ছবি!

২০১৪ সালে কানের ‘লা ফ্যাব্রিক সিনেমা দ্যু মুন্দে’ নির্বাচিত ১০টির মধ্যে ছিল এই ছবির স্ক্রিপ্ট। তখন এর নাম ছিলো ‘শঙ্খধ্বনি’। এই ছবির জন্যই পর পর দুই বছর বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতামূলক গ্রান্ট ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কামার। এছাড়া গোটেবার্গ চলচ্চিত্র উৎসবের স্ক্রিপ্ট গ্রান্ট এবং জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান পেয়েছিলো ‘শিকলবাহা’।

সিনেমাটির বাংলাদেশি প্রযোজক সারা আফরীন বললেন, ইউরোপিয়ান প্রোগ্রামাররা বাংলাদেশের ছবি হিসেবে শিকলবাহার পোস্টারে হিজাব খুঁজেছিল, বিষয়টা ভালো লাগেনি। তাই এশিয়ার বৃহত্তম উৎসবের মূল প্রতিযোগিতার আমন্ত্রণ লুফে নিয়েছিলাম। নিজেদের মতো করে নিজেদের গল্প বলার চেষ্টা তো সেই ‘শুনতে কি পাও!’ এর সময় থেকেই ছিল।

দশ বছর কেন লাগলো এই ছবি বানাতে এই প্রশ্নের জবাবে কামার জানান, শিকলবাহা আমার প্রথম লেখা স্ক্রিপ্ট। কিন্তু এইটা শুরু করার আগেই ‘শুনতে কি পাও!’ ছবিতে ঢুকে পরেছিলাম, এরপর ‘নীল মুকুট’, ‘অন্যদিন…’ এই ছবিগুলা বানাতে বানাতে কখন যে সময় চলে গেল। আমার আসলে স্ক্রিপ্ট থেকে ছবিতে যেতে অনেক সময় লাগে। অনেকেই দেখি বছর বছর ছবি বানান, এটা আসলে আমার ক্যাপাসিটির বাইরে। ছবি নিয়ে আমার মধ্যে কোন তাড়া কাজ করে না, বরঞ্চ একটা ছবি নিয়ে বছরের পর বছর ডুবে থাকতে আমার বেশি ভালো লাগে।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply