পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া করা হয়।
আজ রোববার (২ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বি. এম তারিকুল কবির এ দণ্ডাদেশ দেন। এসময় মামলার অপর দুই আসামি কাবুল ইসলাম ও রবিউল ইসলামকে খালাস দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের নিমাইপাড়া এলাকার আব্বাস উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম কাবুল (৪২) এবং একই ইউনিয়নের গোলাবাড়ি এলাকার জহির উদ্দীনের ছেলে নাজমুল হুদা (৪৫)।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মজির উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি পঞ্চগড় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি এজহার দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে ৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ছোট বোন নুরিনা বেগম স্বামীর বাড়ি বোদা উপজেলার সাকোয়া থেকে বেড়াতে আসে ভাই মজির উদ্দীনের বাড়িতে। পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে বড় বোনের বাড়ির উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর তার গলিত মরদেহ পাওয়া যায় অমরখানা ইউনিয়নের প্রধানপাড়ার একটি ইউক্যালিপটাস বাগানে। সেসময় তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজার রহমান আজু জানান, দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯-এর ৩ প্যানেল কোডের ৩০২ ধারা মতে এই রায় দেন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
/এএম
Leave a reply