টি-২০ বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। য়াগে ব্যাটিংয়ে নামা পাপুয়া নিউগিনিকে খুব বড় স্কোর করতে দেয়নি ক্যারিবিয়ানরা। বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে নিউগিনিকে ১৩৬ রানে বেধে ফেলেন পাওয়েলরা। লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিক উইন্ডিজ। পাপুয়া নিউগিনি অঘটনের শঙ্কা জাগালেও শেষ পর্যন্ত তা হতে দেননি রস্টন চেজ এবং আন্দ্রে রাসেল। ২৭ বলে চেজের অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংসে ৫ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রোববার (২ জুন) গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে পাপুয়া নিউগিনিকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান উইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় নিউগিনি। ২ বলে ৫ রান করে রোমারিও শেফার্ডের বলে উইকেটরক্ষক নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ হন ওপেনার টনি উরা। দলীয় স্কোরকার্ডে ২ রান যোগ না করতেই আকিল হোসেইনের বলে আউট হয়ে যান লেগা সিয়াকা (২ বলে ১)।
পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে দুই চারে ঝড়ের আভাস দিলেও শেষ বলে আউট হয়ে উল্টো বিপদ বাড়ান অধিনায়ক ভালা। পাওয়ার প্লে শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে দলটির রান দাঁড়ায় ৩৪। নিউগিনিকে একাই টেনে নিয়ে যান ব্যাটার সিসি বাউ। উইকেট আগলে রেখে অর্ধশতক তোলেন তিনি। ৪২ বলে ফিফটিতে পৌঁছান সিসি। এরপর যদিও টিকে থাকতে পারেননি। ফিফটি করার পরের বলেই তার উইকেট তুলে নেন জোসেফ। বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন সিসি। তবে, তার ইনিংসে ভর দিয়ে নবাগত দলটি পায় দলীয় রান ১০০ পার করার সাহস।
কিপলিন ডোরিগা ও চাঁদ সোপারের ব্যাটে চড়ে শেষ দিকে আরও কিছু রান সংগ্রহ করে নিউগিনি। ৯ বলে ১০ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হন চাঁদ। ডোরিগার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে অপরাজিত ২৫ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল ও আলজারি জোসেফ।
জয়ের জন্য ১৩৭ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আলে নাউয়ের দারুণ এক ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফেরেন ওপেনার জনসন চার্লস। তিনে নেমে নাউয়ের বলে ধুঁকছিলেন নিকোলাস পুরান। সেভাবে ব্যাটে-বলে করতে পারছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তবে অন্যপ্রান্তে প্রতি ওভারেই চার মেরে যাচ্ছিলেন ব্রেন্ডন কিং।
এদিকে নিজের ১৬তম ডেলিভারিতে প্রথম বাউন্ডারি মারেন পুরান। সেসে বাউয়ের সেই ওভারে পুরান মেরেছেন দুটি ছক্কা ও একটি চার। ছন্দ পেতেই অবশ্য সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। জন কারিকোর ঝুঁলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে থাকা টনির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২৭ রান করা পুরান। পরের ওভারে ফিরেছেন ব্রেন্ডন কিংও।
আসাদ ভালার ঝুুঁলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সিয়াকার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সাত চারে ৩৪ রান করা এই ব্যাটার। ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি রভম্যান পাওয়েল। চাদ সুপারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে স্লগ করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক করতে পারেননি। উইকেটকিপার দরিগা গ্লাভসবন্দী করে আবেদন করতেই আউট দেন আম্পায়ার।
যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন পাওয়েল। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল দরিগার গ্লাভসে যাওয়ার আগে ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ককে ফিরতে হয় ১৫ রানে। টিকতে পারেননি শেরফান রাদারফোর্ডও। আসাদের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে এজ হয়ে দরিগোর গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। তবে শেষ দিকে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন চেজ। খেলেছেন ২৭ বলে অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংস। তাকে সঙ্গ দেয়া রাসেল অপরাজিত ছিলেন ১৫ রানে।
/আরআইএম
Leave a reply