চাচাতো বোনকে বিয়ে করায় চাচার হাতেই খুন সৌরভ

|

ময়মনসিংহ ব্যুরো:

ময়মনসিংহের মনতলা ব্রিজ এলাকায় লাগেজবন্দী ৪ টুকরা মরদেহ পাওয়া সৌরভ হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নিহতের চাচা ইলিয়াস। ইলিয়াসের শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুক এবং প্রাইভেটকার চালক হান্নান। সেই সাথে মরদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়া একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) আলোচিত এই হত্যার রহস্য উন্মোচন করে জেলা পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইভা নামে তার আপন চাচাতো বোনের সাথে গত ১২ মে তার বিয়ে হয়। এর প্রায় ৩ বছর আগে ইভার আরও একটি বিয়ে হয়েছিল। সৌরভের সাথে বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি ইভার পরিবার। ইভার বাবা অর্থাৎ সৌরভের চাচা ইলিয়াস একজন সাবেক সেনাবাহিনী কর্মকর্তা ছিলেন।

পরে গত ১ জুন সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ আসে সৌরভ। ইভার ভাই তাকে কল দিয়ে গোহাইলকান্দি এলাকার বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে ইলিয়াস এবং তার শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুক মিলে প্রথমে ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে। পরে মরদেহ বাথরুমে রেখে দেয়া হয়। এরপর চাপাতি দিয়ে তার দেহ কয়েক টুকরো করা হয়।

পরবর্তীতে, মরদেহ লুকানোর জন্য ময়মসিংহের গাঙ্গিনারপার এলাকা থেকে একটি নতুন লাগেজ কিনে নিয়ে আসেন তারা। লাগেজের দোকানের সিসিটিভি দুটেজ দেখেই মূলত খুনের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

এরপর পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে ঢাকা থেকে ইলিয়াসের শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুককে গ্রেফতার করা হয়, এবং পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে ধোবাউড়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিহত সৌরভের চাচা ইলিয়সকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় প্রাইভেট কার চালক হান্নানকেও পরে আটক করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, গত ১২ মে সৌরভের সাথে ইভার বিয়ের পর গত ১৬ মে তাকে কানাডায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। স্টুডেন্ট ভিসায় তিনি কানাডা গিয়েছেন বলেও জানানো হয়।

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply