আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হজের সময় সৌদি আরবে উচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে। মঙ্গলবার (৪ জুন) মক্কায় এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সতর্ক করেছেন সৌদি ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজির (এনসিএম) প্রধান আয়মান বিন গোলাম। খবর আরব নিউজের।
এনসিএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর হজের সময়ে দিনের বেলায় আবহাওয়া অত্যন্ত গরম হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খোলা জায়গা ও মহাসড়কে সেটা পরিণত হতে পারে ধূলিঝড় বা বালির ঝড়ে।
আয়মান বিন গোলাম জানান, পবিত্র স্থানগুলোতে বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪৫ ডিগ্রি থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকলেও তায়েফ শহরের উচ্চভূমিতে বজ্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর্দ্রতার মাত্রা ৬০ শতাংশেরও বেশি হতে পারে।
তিনি আরও জানান, এ বছর হজের মৌসুম চলবে জুনের ২৪ থেকে ২৯ তারিখ। হজের মৌসুম সৌদি আরবে বছরের সবচেয়ে গরম সময়ের সঙ্গে মিলে গেছে। বছরের এই সময়ে সাধারণত সৌদি আরবে তাপমাত্রা ও বাতাসের আর্দ্রতা দুটোই অনেক বেশি থাকে। ফলে হজে অংশগ্রহণকারীদের সতর্ক থাকতে অবহিত করা হয়েছে।
পবিত্র স্থানগুলো, মদিনা শহর, বিমানবন্দর, বন্দর ও প্রধান সড়কগুলোতে চব্বিশ ঘন্টা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, হজ করতে আসা মুসল্লিদের ওপর তীব্র গরমের প্রভাব কমাতে তাদের বাসস্থানকে পর্যাপ্ত ঠাণ্ডা রাখা হবে হজ আয়োজনকারীদের অন্যতম অগ্রাধিকার।
রোগীদের হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে সৌদির নির্দেশনা
যারা দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছেন, তাদের হজে যাওয়ার সময় চিকিৎসার নথিপত্র সঙ্গে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। রোগীরা হজে গিয়েও যেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান, তা নিশ্চিত করতেই এমন নির্দেশনা।
সৌদি হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় জানায়, বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এমন কোনো রোগে যদি আপনি ভুগে থাকেন এবং বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে চিকিৎসার নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে ভুলবেন না। যেন সৌদিতে আসার ও যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান।
এছাড়া বিদেশি হজযাত্রীদের সৌদি আরবে আসার আগেই ‘নেইসেরিয়া মেনিনজিটিডিস’ ভ্যাকসিন নিতে হবে এবং নিজ দেশের দ্বারা ভ্যাকসিন নেয়ার বিষয়টির প্রমাণপত্র নিতে হবে। একইসঙ্গে, বিদেশি হজযাত্রীদের পোলিও, কোভিড-১৯ এবং ফ্লুয়ের ভ্যাকসিন নেয়া থাকতে হবে। এতে করে সব হজযাত্রীর স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হবে।
/এএম
Leave a reply