নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৩৪ হাজার। তবে এই মাঠে একটা ম্যাচ দেখার জন্য টিকিটের আবেদন জমা পড়েছে ২০০ গুণ বেশি। খবরটা গত ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিল খোদ আইসিসি। অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ ৯ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঐ ম্যাচটা স্পেশাল। লড়াইটা যে দুই চিরপ্রতিদন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের।
ক্রিকেটে পাক-ভারত লড়াই মানেই ভিন্ন আবেগ। বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই ক্যালেন্ডারের পাতায় কিংবা মনে দিনটা মার্ক করে রেখেছেন অনেকেই। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উত্তাপ। অগণিত ভক্ত-সমর্থকদের মতো এই ম্যাচ ঘিরে বাড়তি রোমাঞ্চ কাজ করছে দু’দলের ক্রিকেটারদের মাঝেও। তবে ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া বলছেন ভাবনা কমিয়ে বাড়াতে চান ফোকাস।
হার্দিক পান্ডিয়া বলেন, আপনি যেখানেই যাবেন সেখানেই উন্মাদনা। আমি নিশ্চিত সবাই চায় যে আমরা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ জিতি। এটা খুবই স্বাভাবিক, আমিও তাই ভাবি। তবে একই সঙ্গে বাইরের অবাঞ্চিত বিষয় এড়িয়ে ম্যাচে ফোকাস রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে চাই। আমি ভক্তদের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ, তারা সবটুকু ভালবাসা এবং সবকিছু দিয়ে আমাদের সমর্থন করে। তবে যখন খেলার গভীরে যাই তখন আমরা অন্য কিছু ভাবতে পারি না।
সম্প্রচার মাধ্যম স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে হার্দিকের পাশাপাশি কথা বলেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিশাভ পান্তও। মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনা কাটিয়ে আইপিএল দিয়ে বাইশ গজে প্রত্যাবর্তন হয়েছে পান্তের। প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন ৩২ বলে ৫৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। পাকিস্তান ম্যাচকে বিশেষ কিছু বলে আখ্যায়িত করেছেন ভারতের এই তারকা।
রিশাভ পান্ত বলেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। কারণ এটি একটি বিশেষ ম্যাচ। এমন ম্যাচে আপনি সবসময় বেশি চাপ অনুভব করেন কারণ সমর্থকরা এই ম্যাচগুলো দীর্ঘদিন ধরে মনে রাখে।
বিশ্বমঞ্চে রুদ্ধশ্বাসের ভারত-পাকিস্তান মহারণে অবশ্য বেশ এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। তবে ২০০৭ সালের প্রথম আসরের ফাইনালসহ পাকিস্তান হেরেছে ছয়টিতেই। পাকিস্তানের জয় কেবলমাত্র ২০২১ সালে দুবাইয়ে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতে।
/আরআইএম
Leave a reply