নিউইয়র্কের ড্রপ ইন পিচকে ‘নিকৃষ্ট মানের উইকেট’ বললেন ভন

|

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই এই পিচ নিয়ে ছিল নানা জল্পনা কল্পনা। মাত্র পাঁচ মাসে তৈরি হওয়া নিউইয়র্কের এই স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন পিচ কেমন আচরণ করবে, সেটা ছিল বড় প্রশ্ন। বিশ্বকাপে এই ভেন্যুতে হওয়া দুই ম্যাচ পরেই নাসাউ গ্রাউন্ডের আউটফিল্ড ও পিচ নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই বলছেন, এরকম বিপদজনক ও বাজে উইকেটে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা উচিত না।

নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামের পিচটি নিয়ে আসা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ওভাল থেকে।  অর্থ্যাৎ বাইরের পিচ এনে বসিয়ে দেয়া হয়েছে এই মাঠে। কিন্তু এই ধরনের পিচে খেলতে অভ্যস্ত নয় অনেক ক্রিকেটার। একদিকে অচেনা কন্ডিশন, আবার অন্যদিকে ‘ড্রপ ইন পিচ’। সবকিছুই ব্যাটারদের বিপক্ষে। 

এরইমধ্যে এই উইকেট নিয়ে নিজেদের অসন্তোষ জানিয়েছেন খ্যাতিমান ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে, সাবেক ইংল্যান্ড কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু প্লেসি, ওয়াসিম জাফর এবং ইরফান পাঠান। এবার আইসিসির সমালোচনায় যোগ দিলেন মাইকেল ভন।

বুধবার (৫ জুন) সামাজিকমাধ্যমে নিজের এক্স একাউন্টে ভন লিখেন, স্টেটসে (আমেরিকায়) ক্রিকেটকে পণ্য হিসেবে বিক্রি করার চেষ্টা করা খুব ভালো।  আমি খুব ভালো উদ্যোগ হিসেবে মনে করি।  আমি এই উদ্যোগকে খুব ভালোবাসি।  তবে এর পরেও একটা কথা বলবো, তা হলো নিউইয়র্কের এই নিকৃষ্ট মানের উইকেটে ক্রিকেটারদের খেলতে হচ্ছে, তা একেবারেই মেনে নেয়া যায় না।  বিশ্বকাপে পৌঁছতে সবাই খুব কঠোর পরিশ্রম করে। তারপর এই ধরনের উইকেটে ম্যাচ খেলা একেবারেই মানা যায় না।

গতকাল ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আয়ারল্যান্ড খেলতে পারে ১৬ ওভার।  কখনো অসমান বাউন্স, আবার বল কখনো থেমে থেমে আসছে এই উইকেটে। আইসিসি ইভেন্টে এই ধরনের উইকেট বিব্রতকরই। শুধু এবার বিশ্বকাপ নয়, আগামী ২০২৮  লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক আয়োজন করার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। যেখানে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে ক্রিকেট। বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের প্রসারে আইসিসি যে উদ্যোগ নিচ্ছে তাতে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে এই ধরনের উইকেট।

/আরআইএম

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply