গাইবান্ধা সরকারি খাদ্য গুদামের ১৯৯ মেট্রিক টন চাল ও গম গেল কোথায়?

|

প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধা করেসপনডেন্ট:

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে একশ ৩১ মেট্রিক টন চাল, ৬৮ মেট্রিক টন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি খালি বস্তার হদিস মিলছে না। এ ঘটনায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে অভিযুক্ত করে পলাশবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন (ওসি-এলএসডি) সিদ্দিক।

বৃহস্পতিবার ( ৬ জুন) বিকেলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে চাল ও গম উধাও হওয়ার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত ৩ জুন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেন। রিপোর্টে দেখা যায়, ওই গুদামের ১৩১ মেট্রিক টন চাল, ৬৮ মেট্রিক টন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি বস্তার হিসাব মিলছে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই পরিমাণ খাদ্য শস্য ও সামগ্রী তছরুপ করা হয়েছে।

তিনি জানান, এই ঘটনার পরপরই জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে খাদ্য গুদামটি সিলগালা করা হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন, সম্প্রতি খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক এক আদেশে ওসি এলএসডি আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে স্ট্যান্ড রিলিজ করে সিলেট বিভাগে যোগদানের নির্দেশ দেন। গত ১৯ মে তার কর্মস্থলে যোগদানের কথা ছিল। তবে ঘটনার পর থেকেই তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) লাইসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার (৪ জুন) থানায় জিডি করা হয়েছি। আজকে অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনার তদন্তে গাইবান্ধা সদর সহকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাকিব রেওয়ানকে আহবায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কালাম, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবহান ও গাইবান্ধার খাদ্য পরিদর্শক আল আউয়াল।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply