শরিকদের চাপে কোণঠাসা ক্ষমতাসীন বিজেপি। মসনদে বসতে নরেন্দ্র মোদির হাতে বিকল্প না থাকায়, নানা শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারের মতো কিংমেকাররা। গুরুত্বপূর্ণ দফতরের পাশাপাশি বিহারের বিশেষ মর্যাদাও রয়েছে লম্বা তালিকায়। একচুল ছাড় দিচ্ছে না ছোট দলগুলোও। বিশ্লেষকরা বলছেন, শরিকদের দাবি পূরণই হবে মোদির জন্য চ্যালেঞ্জ।
টানা তৃতীয় দফায় ভারতের ক্ষমতায়- বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় বেশ চাপেই রয়েছে গেরুয়া শিবির। এনডিএ জোটের ২৯৩ আসনের মধ্যে বিজেপির ২৪০টি। কিন্তু সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার- ২৭২। এ অবস্থায় ক্ষমতায় থাকতে বিজেপিকে মন রাখতে হবে জোট শরিকদের।
বিজেপির দুর্বলতার ফায়দা লুটছে শরিকরাও। মন্ত্রিসভা গঠন তো দূরের ব্যাপার হয়নি শপথও। এরমাঝেই দফতর বণ্টন নিয়ে শুরু হয়েছে দর কষাকষি। সাথে বিস্তর শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন শরিক নেতারা। এনডিএ জোটে- বিজেপির পর সর্বোচ্চ আসন তেলেগু দেশম পার্টি ও জেডিইউ’র। দলগুলোর নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারই এখন কিংমেকারের ভূমিকায়। তাই দাবির কমতি নেই তাদের।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় অন্তত পাঁচটি পদ চান নাইডু। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পাশাপাশি তার চাওয়ার তালিকার রয়েছে সড়ক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরও।
রেলসহ অন্তত দু’টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চান নীতিশ কুমার। বিহার রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা, দেশজুড়ে জাত গণনা আর সেনাবাহিনীতে নিয়োগ সংক্রান্ত অগ্নিবীর প্রকল্পের পুনর্বিবেচনার দাবিও এই নেতার।
মোদিকে ছাড় দিচ্ছে না ছোট দলগুলোও। মাত্র দু’টি আসন পেলেও জেডিএস চায় মন্ত্রণালয়ের ভাগ। বিজেপিকে সামলাতে হচ্ছে ৭ আসন পাওয়া শিবসেনার একনাথ শিন্ডে, ৫ আসন পাওয়া লোক জনশক্তি পার্টির চিরাগ পাসওয়ানের মতো নেতাদের।
এদিকে এনডিএর শরিকদের জন্য দরজা খোলা রেখেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট- ইনডিয়াও। কাজেই শরিকদের খুশি রেখেই নতুন সরকার গঠন করতে হবে বিজেপিকে। যা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ- বলছেন বিশ্লেষকরা। কারণ তাতে প্রকাশ্যে আসবে দলটির অর্ন্তকোন্দল।
এটিএম/
Leave a reply