চলতি বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আরও ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে। এই বছরের শেষের দিকে এটি কমতে শুরু করবে।
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি এখনও ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। পৃথিবীর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়েছে। যার চাপ ডলারে পড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার অবমূল্যায়ন মূল্যস্ফীতির বড় কারণ। আগামী বছরে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি যেহেতু চ্যালেঞ্জ, সে কারণে সংকোচনমূলক নীতি অব্যাহত থাকবে।
সার্বজনীন পেনশন কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি জানান, সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সার্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে যুক্ত করা হবে। সেই সঙ্গে ক্যাশলেস সোসাইটি আর ডিজিটাল কর ব্যবস্থা প্রত্যাবর্তনে গুরুত্ব অব্যাহত থাকবে। এ সময় ব্যাংক ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলেও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ছাড়াও অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করছেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে, দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগানে তিনি এই বাজেট পেম করেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
/এমএইচ
Leave a reply