রংপুরে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে কলেজ শিক্ষকসহ ৩ জন নিহত, আহত ৯

|

রংপুর ব্যুরো:

রংপুরে সিএনজি ও বাসের সংঘর্ষে সরকারি কলেজের এক শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ মারা গেছেন ৩ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৯ জন। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শনিবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাগলাপীর-ডালিয়া সড়কের গঙ্গচড়ার দক্ষিণ খলেয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের আনসার সদস্য ও তারাগঞ্জ উপজেলার বসুনিয়া হাজীপাড়া গ্রামের মেহেরুল ইসলাম (৩৫), কিশোরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গণেশের বাজার এলাকার দিবা রাণী সরকার (৪০) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিমু আক্তার (২২)। তার বাড়ি পুটিমারী ইউনিয়নের ভেরভেরী গ্রাম। তারা সবাই সিএনজির যাত্রী ছিলেন।

এ ঘটনায় হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন সিএনজির যাত্রী রংপুর মহানগরীর বাহারকাছনা এলাকার মাসুম মিয়ার পুত্র ওহিদুল ইসলাম (৩২), কিশোরগঞ্জ উপজেলার ভেরিবাড়ি এলাকার আশরাফুল ইসলামের পুত্র মমিনুর ইসলাম (৩৭) এবং বাসের সহকারী রহিদুজ্জামান।

প্রত্যক্ষদর্শী আকমল হোসেন জানান, পাগলীপীর থেকে সিএনজিটি দ্রুত গতিতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে এসেই একটি ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে পাশের দিকে যায়। এসময় রংপুরগামী একটি মিনি বাস যাচ্ছিল। বাসটি সিএনজিকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের গালে সাথে ধাক্কা লাগে একই সাথে বাসের পেছনের অংশ সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে সিএনজি যাত্রী মেহেরুল ইসলাম (৩৫) মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় অন্যদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে মারা যান দিবা রানী সরকার ও রিমু আক্তার।

গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মোমতাজুল ইসলাম জানান, তারা দুর্ঘটনায় পড়া যানবাহন দুটি উদ্ধার করেছেন। এসময় তারা একটি মরদেহও উদ্ধার করেন।

হাইওয়ে পুলিশের তারাগঞ্জ থানার ওসি খান শরিফুল ইসলাম বলেনন, সিএনজিটি দ্রুত গতিতে চলছিল। প্রথমে ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বিপরীত দিক থেকে আসা বাসটি সিএনজি বাঁচাতে গিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে। আর বাসের পেছনটা লেগে সিএনজি ছিটকে পড়ে যায়। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply