মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন

|

ফাইল ছবি।

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া আলোচিত রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৯ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে এই আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে, গত বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

ওই রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা ওই পরিপত্রে বলা হয়, নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হল। এখন থেকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে।

তবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোটা ব্যবস্থা আগের মতই বহাল থাকবে বলেও পরিপত্রে বলা হয়েছিল।

ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। গত বুধবার ওই আবেদনেরই রায় দেয়া হয়।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply