পুলিশের নির্যাতনে চোখ নষ্ট: অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

|

‘পুলিশ লাঠিয়াল না বন্ধু?’ শিরোনামে সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রিতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। প্রতিবেদনে পুলিশের নির্যাতনে কয়েকজন ব্যক্তির চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রচার করা হয়। তারই একটি ছোট্ট অংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন। তিনি ২০১৩ সালে মৌলভীবাজার কুলাউড়ার সার্কেল এএসপি ছিলেন।

প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে ইমন নামের ঝিনাইদহ জেলার এক বাসিন্দার বক্তব্য প্রচার করা হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, মৌলভীবাজার জেলায় ঘুরতে গেলে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে একাধিক মামলার আসামি করে। পরে নির্যাতনের এক পর্যায়ে চুন ও সুপার গ্লু দিয়ে চোখ অন্ধ করে দেয়া হয়।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, বাড়ি অন্য জায়গায় হলেও সিলেট-মৌলভীবাজার অঞ্চলে ডাকাতি করতো ইমন। তেমনই এক ঘটনায় ধরা পড়ে গণপিটুনি খায় খায় সে। সেখানেই উত্তেজিত জনতা তার চোখে চুন লাগিয়ে দেয়। কুলাউড়ার গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেকে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, পরবর্তীতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করা হয় যে, তার উপস্থিতিতে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন করে চোখ নষ্ট করা হয় ইমনের। অভিযোগে যেই দিন উল্লেখ করা হয়, সেদিন তিনি ঢাকায় একটি ট্রেনিংয়ে ছিলেন বলেও জানান।

প্রতিবেদকের বক্তব্য:

ইমনের চোখ নষ্টের বিষয়টি যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রিতে অভিযোগ আকারে আসার পর তা খতিয়ে দেখা শুরু করে একটি টিম। এ ক্ষেত্রে সরেজমিন ঘুরে সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য নেয়া হয়। পরবর্তীতে তা মূল প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা হয়। এখানে রিপোর্টারের কোনো মন্তব্য প্রচারিত হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয় আলমগীর হোসেনের কাছে। বহুবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তবে, তিনি ফোন ধরেননি। সেই রেকর্ডও আছে ইনভেস্টিগেশন টিমের কাছে। পরে তার কার্যালয়ে গিয়েও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাতেও তিনি সাড়া দেননি। এ ফুটেজ ‘পুলিশ লাঠিয়াল না বন্ধু?’ শিরোনামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রচারও হয়েছে।

/এমএমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply