বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মধ্য রাতেই ৯টি কমিটি বিলুপ্তির কথা জানায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এরমধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ শাখা। অঙ্গ সংগঠন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও ভেঙে দেয়া হয় মেয়াদ শেষের আগেই। ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের ঢাকা মহানগরের ৪ শাখার কমিটির ভাগ্যেও জুটে বিলুপ্তির তকমা।
এ অবস্থায় গুঞ্জন চলছিল, ঈদের আগেই ঘোষণা হতে পারে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। নয়াপল্টনে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল, আলোচনায় থাকা বেশ কয়েকজন নেতার নাম। কিন্তু তার আগেই আজ শনিবার (১৫ জুন) সকালে সংগঠন গোছানো নিয়ে বড় বার্তা দেয় বিএনপি। ৩৪ জন নেতাকে পদোন্নতি দিয়েছে। বিপরীতে ৫ নেতার পদাবনতি হয়েছে। পরে দুপুরে ছাত্রদলের ২৬০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ঘোষণাও আসে। বিকেলে আরও ৬ নেতার পদ পাওয়ার কথা জানায় দলটি।
বিএনপির রাজনীতির ইতিহাসে এত বড় রদবদল নজিরবিহীন ঘটনা। হুট করে দলটির নেতৃত্বে এত বড় রদবদল রাজনৈতিক অঙ্গণে বেশ আলোচিত হচ্ছে। কী কারণে দলটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছে না। যদিও দলটির একাধিক নেতা বলছেন, কমিটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এই রদবদল করা হয়েছে। তবে কাউন্সিল ছাড়াই চলছে বিএনপির পুনর্গঠন কার্যক্রম। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
দলটির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানিয়েছেন, বিএনপি একটি বিমূর্ত অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর নির্বাচন নিয়ে যে পরিকল্পনা ছিল, বাস্তবে তার বিপরীত ঘটেছে। মোকাবেলা করতে হচ্ছে প্রতিকূল অবস্থা। নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তা কাটিয়ে ওঠে আবারও নতুন করে রাজপথে নামতে চায় দলটি। এ কারণেই বিএনপির নেতৃত্বে রদবদল আনা হচ্ছে।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল জানালেন, এই রদবদল বা পরিবর্তনের মাধ্যমে সংগঠনে আরও গতিশীলতা আসবে। এতে দল আরও সুসংগঠিত হবে।
বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, দায়িত্ব পালনে অনেক নেতা-ই কোনো না কোনোভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
অপরদিকে, এসব কমিটি নিয়ে দলটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যাদের পদাবনতি হয়েছে বা উপদেষ্টা করা হয়েছে তাদের বেশিভাগই দলের সিদ্ধান্তে নাখোশ। আবার বাস্তবতা বিবেচনা করে দলের শীর্ষ নেতারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মত দিয়েছেন অনেকে।
/আরএইচ/এমএন
Leave a reply