মোহসীন উল হাকিমকে বিশেষ সম্মাননা

|

সুন্দরবন এখন অনেকটা নিরাপদ। দস্যুদের দাপট কমেছে কয়েকগুণ। বড় বড় দস্যু বাহিনীগুলো অস্ত্র সমর্পণ করে এসেছে স্বাভাবিক জীবনে। আর এসব কিছুই যার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে তিনি হলেন মোহসীন উল হাকিম। যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি। সুন্দরবন রক্ষায় তার ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ভূমিকা কারণে মোহসীন উল হাকিমকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি।
মঙ্গলবার দুপুরে সংগঠনের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এক বিশেষ অায়োজনে তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সম্মাননা গ্রহণ করার সময় মোহসীন উল হাকিম বলেন, আমি সাংবাদিক হিসেবে দস্যুবাহিনীর অাত্মসমর্পণে মধ্যস্থতা করিনি, একজন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ববোধ থেকে এ কাজ করেছি। এ অঞ্চলের ২৫ লাখ মানুষ জীবিকা আহরণ নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকে। আমি আমার প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদেরকে দুশ্চিন্তামুক্ত করার চেষ্টা করেছি মাত্র।’
সুন্দরবনে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে মোহসীন উল হাকিম বলেন, ‘আমি সবসময় সাংবাদিকতার পাশাপাশি কিছু করতে চেয়েছি। এ কারণেই আমি দস্যুবাহিনীর অাত্মসমর্পণের কাজ করতে থাকি। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলে বললে প্রথমে রাজি না হলেও পরে তারা আগ্রহী হন।’
তিনি বলেন, বর্তমান পর্যায়ে আসতে আমাকে ৮ বছর টানা কাজ করে যেতে হয়েছে। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মোহসীন উল হাকিম বলেন, ‘মূলধারার সাংবাদিকতায় গ্রামের কথা উঠে আসে না। আমাদের গ্রাম আমাদের ভিত্তি। সেই ভিত্তির কথা সেভাবে উঠে আসে না। তাই গ্রামের মানুষের কথা তুলে আনতে হবে। কোনো একটা সমস্যাকে টার্গেট করে তা সমাধানে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমার একটি রিপোর্টে যদি কমিউনিটির সমস্যা কিছুটা লাঘব হয়, সেটাই আমার সার্থকতা।’
সম্মাননা দেয়ায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে মোহসীন উল হাকিম বলেন, কোন সমস্যা সমাধান করতে হলে দীর্ঘ মেয়াদে লেগে থাকতে হবে। তাহলে সুফল আসবেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্স মিলনায়তনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মেহেরুল সুজনের সঞ্চালনায় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক হাসান অাজিজুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, সহযোগী অধ্যাপক মশিহুর রহমান।
কথাসাহিত্যিক হাসান অাজিজুল হক বলেন, সাংবাদিক মোহসীন উল হাকিমের মধ্যে আমি চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের ছাঁয়া দেখতে পাই। পরে অধ্যাপক হাসান অাজিজুল হক মোহসীনের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, একজন সাংবাদিক হিসেবে মোহসীন শুধু তার পেশাগত দায়িত্বই পালন করেননি, তিনি সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকাও রেখেছেন।
টিবিজেড/এমএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply