সবশেষ ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে সুপার এইট পর্বে জায়গা পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রায় ১৭ বছরের অপেক্ষার পর আবারও সেরা আটের লড়াইয়ে টাইগাররা। আগামীকাল শুক্রবার (২১ জুন) ভোর সাড়ে ৬টায় সুপার এইটের দ্বৈরথে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়বে শান্ত-সাকিবরা।
অতীত রেকর্ড ও পরিসংখ্যানে বাংলাদের চেয়ে ঢের এগিয়ে ‘মাইটি’ অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঁচবারের মোকাবিলায় সবকটি ম্যাচেই হেরেছে টাইগাররা। অবশ্য টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১০ বারের মুখোমুখিতে অজিরা জিতেছে ৬টিতে আর বাংলাদেশের জয় ৪টি।
টাইগারদের সবকটি জয়ে বড় ভূমিকা ছিল হোম কন্ডিশনের। যা ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে অজিদের বধ করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে বৈশ্বিক যেকোনো টুর্নামেন্টে নিজেদের ছাপিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তাই সুপার এইটের ম্যাচকে ঘিরে বাড়তি সতর্কতা থাকবে টাইগার শিবিরে।
দুই দলের সাক্ষাতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন সাকিব আল হাসান। ২৫৭ রান করে তালিকায় সবার উপরে অবস্থান করছেন তিনি। ১৭৮ রান নিয়ে মিচেল মার্শ আছেন দ্বিতীয় এবং ১৬৪ রান নিয়ে সাকিবের স্বদেশি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আছেন তিন নম্বরে।
উইকেট শিকারির তালিকায় ১৩ উইকেট দখল করে ১ নম্বরে আছেন অ্যাডাম জাম্পা। ১২ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসান আছেন দুইয়ে। আর জস হ্যাজেলউড ১০ উইকেট তুলে নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
গ্রুপ পর্বে কন্ডিশনের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে টাইগার বোলররা। ব্যাটারদের অবদান ছাড়াই মোস্তাফিজ-রিশাদ-তানজিম সাকিবদের আগুনঝরা বোলিংয়ে সুপার এইটে নিজেদের জায়গা পাকা করেছে বাংলাদেশ। তবে সেরা আটের দ্বৈরথে বাড়তি সতর্কতার সাথে মাঠে নামার পরিকল্পনা লাল-সবুজদের।
/এএম
Leave a reply