‘সুরিয়া অনুশীলনে এমন ক্যাচ অসংখ্যবার ধরেছেন’

|

ছবি: সংগৃহীত

ভারেতর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে ভিরাট কোহলি কিংবা জাসপ্রিত বুমরাহকে ছাপিয়ে ফাইনালের নায়কের তকমা পেয়েছেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে মিলারের ক্যাচটি লুফে নেয়ার সাথে সাথে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। তবে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না সেই ক্যাচের। যদিও রিপ্লে পর্যব্ক্ষেণ করে সেটিকে পরিষ্কার আউট বলে সিদ্ধান্ত দেন টিভি আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো।

সুরিয়াকুমারের এমন নিবেদনে কোনো বিতর্কের সুযোগ দেখছেন না ভারতের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ। তার মতে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে এমন পারফরমেন্স পার্থক্য গড়ে দেয় ফলাফলে। ব্যাখ্যা দেন চাপের মধ্যে থেকেও সুরিয়াকুমারের এমন ক্যাচ ধরার রহস্য।

টি দিলীপ বলেন, অনুশীলনে এমন ক্যাচ অন্তত ৫০টা ধরেছে সুরিয়া। তবে চাপের মধ্যে থেকেও তার এই ক্যাচ ক্রিকেট সচেতনতার উদাহরণ। সেই সময় বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। নিজে বাউন্ডারি লাইনে চলে যাওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে বলটি শূন্যে ছুঁড়ে দেন। পরে মাঠে পা রেখেই সম্পন্ন করেন ক্যাচটি।

ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়া সেই ক্যাচের জন্যই ফাইনালে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার উঠে সুরিয়াকুমার ইয়াদভের হাতে। কঠিন সময়ে কাজে লাগানো তার এই উপস্থিত বুদ্ধির বেশ প্রশংসা করেন দিলীপ।

ভারতের এই ফিল্ডিং কোচ বলেন, উপস্থিত বুদ্ধিকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে মিলারের ক্যাচটি ধরে ফেলেন সুরিয়াকুমার। এমন মূহুর্তে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী না হলে এই ক্যাচ ধরা সম্ভব ছিল না। সবাই হয়তো ভেবেই নিয়েছিল ছয় হয়ে যাবে বলটি। তবে সুরিয়াকুমারের ভাবনা যে ছিল অন্যরকম। রং বদলে দেয়ার ফাইনালে সম্পূর্ণ কৃতিত্বই তার।

দিলীপের মতো সুরিয়াকুমারকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সাধারণ ক্রিকেটভক্ত থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকরা। ক্রিকেটপ্রেমীরা আজীবন এই ক্যাচ মনে রাখবেন বলে দাবি তাদের।

/আরআএইম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply