সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খুব একটা ভালো করতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া আর কোনো ম্যাচেই ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি। ৭ ম্যাচে করেন ১১১ উইকেট। বোলিংয়েও বিবর্ণ ছিলেন সাকিব। ব্যাট-বলে বাজে সময় পার করায় প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের ভবিষ্যত নিয়ে। সাকিব জানান, এখন তিন মাস, ছয় মাসের পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চান। ওই হিসেবে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজই তার প্রাথমিক লক্ষ্য।
ক্যারিয়ারের ৩৭টি বসন্ত পেরিয়ে এখন অন্তিম পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছেন সাকিব। ছাপ তাই পড়াটা স্বাভাবিক। বহুদিন ধরে অলরাউন্ডারদের যে জায়গাটি তার দখলে ছিল, হারিয়েছেন সেই বিশ্বসেরার তকমাও। শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন সাকিব। প্রশ্ন উঠছে, ভবিষ্যৎ নিয়ে কী পরিকল্পনা করছেন তিনি?
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাকিব বলেন, নিজের নিয়ে এখনও তেমন পরিকল্পনা নেই। এখন আপাতত পরিকল্পনা হচ্ছে যে দুইটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে আমার সামনে একটা হচ্ছে এমএলসি যেটার জন্য এখন যাচ্ছি। এরপর থাকবে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি যেটা কানাডাতে হবে। এই দুইটা টুর্নামেন্ট খেলি, দেখি আমার কি অবস্থা। এরপর দেশের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যেটা আছে পাকিস্তানের সাথে টেস্ট সিরিজ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলার আগে দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলবেন সাকিব। যেখানে মেজর লিগ ক্রিকেটে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্স ও কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন মিসিসাগা বাংলা টাইগার্সের হয়ে। আগামী এক মাসের একটু বেশি সময়ে দুটি লিগে খেলে নিজের অবস্থা বুঝতে চানর সাকিব। বয়স হয়ে যাওয়ায় তিন কিংবা চার বছরের পরিকল্পনা করার সময় দেখছেন না তিনি।
সাকিব বলেন, আপাতত পরিকল্পনা এতটুুকুই। খুব বেশি পরিকল্পনা করিনি। নিজের বুঝার দরকার আছে, এখন আসলে ওইরকম সময় নেই যে তিন, চার বছরের পরিকল্পনা করার। আমার মনে হয় তিন মাস, ছয় মাস পরিকল্পনা করাই ভালো এবং এরপর পরবর্তী পরিকল্পনাটা তারপরে। আপাতত পাকিস্তান সিরিজ পর্যন্তই পরিকল্পনা আছে।
/আরআইএম
Leave a reply