নেত্রকোণায় স্বামীকে তালাক দেয়ায় অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণার কেন্দুুয়ায় স্বামীকে তালাক দেয়ার খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীর গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৫ জুন) রাত পৌনে ৮টার দিকে ওই উপজেলা কান্দিউড়া ইউপির ব্রাম্মনজাত গ্রামে ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় দেড়যুগ আগে জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ব্রাম্মনজাত গ্রামের ফজলুর রহমান খানের মেয়ে হাফসা আক্তারের সাথে একই উপজেলার মাসকা ইউপির মাসকা গ্রামের মৃত জুবেদ আলীর ছেলে হুমায়ুন কবির বাকির বিয়ে হয়। বিয়ে পর কিছুদিন ভাল গেলেও স্বামীর শারীরিক সমস্যার কারণে তাদের দাম্পত্যজীবনে কলহ শুরু হয়। এইভাবে কেটে যায় প্রায় ১৭ বছর।

দেড়মাস ধরে দাম্পত্য কলহের মাত্রা বেড়েছে যায়। গত ঈদের পরের দিন হাফসা আক্তার তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। এবং গত বৃহস্পতিবার কাজী অফিসে গিয়ে স্বামী একতরফা তালাক দেন। এই খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ স্বামী বাকি শুক্রবার (৫জুলাই) রাতে স্ত্রী’র ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। হাফসা পরিবারের সদস্যরা এমন অভিযোগ করছেন।

এঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কেন্দুুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

ভুক্তভোগী হাফসা আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকে তার স্বামীর শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ে। ১৭ বছর দাম্পত্যজীবনে তাদের কোন সন্তানাদি নেই। তাকে বার বার বলার পরে সে চিকিৎসা করে না। উল্টো তাকে বেধড়ক মারপিট করে। তার সাথেও বাড়ির লোকজনও তাকে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দেনদরবার হয়েছে। চেষ্টা করেও তার সাথে সংসার করতে চাইলে তার পৈশাচিক আচারণের অতিষ্ঠ হয়ে বৃহস্পতিবার নিকাহ রেজিস্টার মাধ্যমে তাকে তালাকনামা রেজিস্ট্রি করি। এই খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে আমাদের ঘরে রাতের খাবার খাওয়ার সময় ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে আমার নাকেমুখে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বামী হুমায়ূন কবিরের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আমরা যতোটুকু দেখেছি তাতে মনে তার ওপর দাহ্য জাতীয় পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়েছে।

কেন্দুুয়া থানা ওসি এনামুল হক বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। ডাক্তার বলেছে তার ওপর কোনো দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়েছে। রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply