উজানের ঢলে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। ডুবছে নতুন নতুন এলাকা। বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের কষ্ট। এখন পর্যন্ত সারাদেশে ১৫টি জেলা বন্যাকবলিত। পানিবন্দি প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এতে জেলার ইসলামপুর, মাদারগঞ্জসহ ৪ উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি। বাড়িঘর ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু এলাকায়। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। প্লাবিত নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা।
যমুনার পানিতে ডুবছে সিরাজগঞ্জ-বগুড়ার নতুন নতুন এলাকা। বাড়িঘরে পানি, জ্বলছে না চুলা। খেয়ে না খেয়ে কাটছে অনেকের দিন। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বেড়ে প্লাবিত অনেক এলাকা।
কুড়িগ্রামে চিলমারী-নাগেশ্বরী, সদরসহ ৬ উপজেলার ৪১টি ইউনিয়ন এখন বন্যাকবলিত। পানিবন্দি দেড় লাখের বেশি মানুষ। বসতঘরের চাল ছুঁইছুঁই পানি।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে গাইবান্ধায়। প্লাবিত নতুন নতুন এলাকা। সেখানে পানিবন্দি প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। রংপুরে, তিস্তার জলে ১২টি ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন রয়েছে।
সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারার পানি কিছুটা কমলে, এখনও বিপৎসীমার ওপরের আছে। এতে অপরিবর্তিত বন্যা পরিস্থিতি। প্রশাসনের হিসেবে, জেলায় ৬ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি। ২০৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ৯ হাজার মানুষ উঠেছেন। রয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট।
/এটিএম
Leave a reply