ভাগ্য বদলের আশায় এবারের কোপা আমেরিকাকে পাখির চোখ করেছিলো তারুণ্য নির্ভর ব্রাজিল। কিন্তু শেষ আটের বৃত্ত এবারও ভাঙতে পারেনি সেলেসাওরা। ছন্দহীন ফুটবলে উরুগুয়ের কাছে হেরে সেমির স্বপ্ন ভঙ্গ দরিভাল শিষ্যদের।
নির্ধারিত সময় গোলশুন্য থাকার পর টাইব্রেকারে এলোমেলো পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সবাইকে অবাক করে স্নায়ুচাপের পরীক্ষায় কোচ দরিভাল জুনিয়র ছিলেন দলীয় বৃত্তের বাইরে দাঁড়িয়ে। টাইব্রেকারের কঠিন সময়ে কোচ হিসেবে যেখানে শিষ্যদের পাশে থেকে সমর্থন যোগানোর কথা, সেখানে কেন দলের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তা নিয়ে হচ্ছে বেশ সমালোচনা।
ম্যাচ পরবর্তী সমালোচনার ব্যখ্যা দেন দরিভাল জুনিয়র। তিনি বলেন, ‘আমি দলের বাইরে ছিলাম, কারণ একজনকে আমার পরিকল্পনা বলে দিয়েছিলাম। পেনাল্টি শ্যুটের জন্য পাঁচজন ঠিক করাও ছিল। যারাই শ্যুট করার পজিশনে ছিল, তাদের অনুশীলন ও প্রস্তুতি ছিল আগে থেকে। জয় পেতে হলে কোন দলকে ভুল করতেই হতো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটাই আমাদের সঙ্গে ঘটল এবং তাতেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছি আমরা’।
২০২১ কোপা আমেরিকা ও ২০২২ বিশ্বকাপের পর আরও একবার কোপার শেষ আটেই থামলো ব্রাজিলের জয়রথ। দলের ছন্দহীন পারফরমেন্সে বাড়তি দু:শ্চিন্তা কোচ দরিভালের। কারণ বিশ্বকাপ বাছাইয়েও যে স্বস্তিতে নেই তার দল। মাত্র সাত পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ছয় নম্বরে অবস্থান সেলেসাওদের। আছে পা হড়কানোর সুযোগ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মলনে ব্রাজিল কোচ বলেন, ‘আমাদের গড়ে ওঠার, বিকশিত হওয়ার ও উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আপাতত আমাদের মূল লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়া। বাছাইপর্বে এখন আমরা পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে আছি। যা নিয়ে মোটেও স্বস্তিতে নেই আমরা’।
হলুদ শিবিরে নতুন আশার বাতি হয়ে এসেছিলেন তরুণ এন্ডরিক ফেলিপে। ভিনিসিয়ুসের নিষেধাজ্ঞায় প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। পুরো ৯০ মিনিট খেলে গোলে শট নিতে পেরেছেন মাত্র একটি। ম্যাচে মাত্র ২৪বার বল স্পর্শ করতে পারলেও হারিয়েছে ১৫ বার। তারপরও সমর্থকদের পাশে থাকার আহ্বান ১৭ বছর বয়সী এই তরুণের।
ম্যাচ শেষে এন্ডরিক ফেলিপে বলেন, ‘ব্রাজিলকে আমরা সবসময় উঁচুতে রাখতে চাই। আমরা পরিশ্রম করতে থাকব এবং বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুতি নেব। জানি, সময়টা কঠিন। তবে সকল ব্রাজিলিয়ানের সমর্থন পাওয়ার আশা রাখছি’।
/ওয়াইবি
Leave a reply