বন বিভাগের বৃক্ষমেলায় দোকান বসেছে ৩৯টি, গাছের দোকান মাত্র একটি

|

শরীয়তপুর করেসপনডেন্ট:

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের ব্যানারে উপজেলা পরিষদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে আয়োজন করা হয়েছে ১৫ দিনের বৃক্ষমেলা। যেটি গত পহেলা জুলাই থেকে শুরু হয়েছে, শেষ হওয়ার কথা আগামী ১৫ জুলাই।

ইতোমধ্যে মেলায় ৩৯টি দোকানে পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার, ফুসকা-চটপটি, কসমেটিকস, প্রসাধনীসহ শিশুদের খেলনা ও রাইড। মেলার এককোণায় রয়েছে মান্নান নার্সারি নামের একটি গাছের চারার দোকান। অর্থাৎ গোটা মেলায় গাছের দোকান আছে মাত্র একটি।

মেলায় গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটক বড় করে ব্যানার টানানো হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে ‘বৃক্ষমেলা-২০২৪’। আয়োজনে বন বিভাগ, শরীয়তপুর এবং সার্বিক সহযোগিতায় গোসাইরঘাট উপজেলা প্রশাসন। তবে বন বিভাগ বলছে, তারা মেলার আয়োজন করেনি। আর উপজেলা প্রশাসন বলছে বন বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় মেলার আয়োজন হয়েছে, তারা শুধু মাঠ দিয়েছেন। বৃক্ষমেলার নামে এমন ‘তামাশায়’ ক্ষুব্ধ দর্শনার্থীরা।

এক দর্শনার্থী বলেন, মেলায় সবই আছে শুধু গাছের স্টলই নেই। গোটা মেলায় মাত্র একটি গাছের দোকান আছে। এখানে এসেছিলাম দূর্লভ কিংবা বিলুপ্তপ্রায় কোনো বৃক্ষ পাবো সেই আশায়। কিন্তু সেটি তো নেই।

আরেকজন বলেন, গাছ কেনার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু গাছই নেই। তাই কেনাও হয়নি। নামে বৃক্ষমেলা, কিন্তু মেলার ভেতরে ঢুকলে মনে হবে বাণিজ্য মেলা চলছে।

এ বিষয়ে কিছুই জানে না দাবি করে নিজেদের নাম ব্যবহার করায় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে বন বিভাগ। শরীয়তপুর জেলা বন কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে গোসাইরহাটে কোনো বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয়নি। শুনেছি নার্সারি মালিক সমিতি, উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে মেলার আয়োজন করেছে।

তিনি আরও বলেন, মেলা আয়োজন করার মতো এখন তাদের কোনো বাজেট নেই। আয়োজক হিসেবে তাদের নাম ব্যবহার করার আগে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ বলেন, আমরা কোনো মেলার আয়োজন করিনি। বন বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় মেলা আয়োজন করা হয়েছে। তারা শুধু মেলার জন্য মাঠ দিয়েছেন।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply