স্টাফ করেসপনডেন্ট, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামে ধরলা নদী, দুধকুমার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমার নদের পানি বাড়ার সাথে সাথে একের পর এক বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ও সড়ক উপচে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে তলিয়ে যাচ্ছে পুরো জনপদ।
রোববার (৭ জুলাই) সকালে কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার গ্রামে ভেঙে গেছে এলজিইডি ক্ষুদ্র ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের নির্মিত একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ১৫মিটার। একই দিন বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ভোরে মুড়িয়া গ্রামে এক জায়গায় বাঁধ ভাঙ্গার উপক্রম হলে এলাকাবাসী তা নিজ উদ্যোগে সংস্কার করেন।
এর আগে শনিবার (৬ জুলাই) একই ইউনিয়নের তেলিয়ানীতে একটি বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। কচাকাটা থেকে আয়নালের ঘাটগামী পাকা সড়ক উপচে পুরো এলাকায় পানি প্রবেশ করছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবেদ আলী জানান, পানি যেভাবে প্রবেশ করছে তাতে বিকেলের মধ্যে তেলিয়ানীর অধিকাংশ ঘর-বাড়িতে পানি উঠে যেতে পারে। যেসব এলাকায় বাঁধ ভেঙেছে তার আশেপাশের গ্রামগুলোর একই অবস্থা বলেও জানান তিনি।
বামনডাঙ্গা এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি জানান, শনিবার মিয়াপাড়ায় বেড়িবাঁধের দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে যায়। রোববার তেলিয়ানীতে বাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করে পানি। ফলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে অনেক গ্রাম। ফলে ওই এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকাবাল রাজিব জানান, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ তাকে কিছু জানায়নি। খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারবো।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, দুধকুমার নদীর বাঁধ নির্মাণকাজ চলমান আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙার কোনো খবর তাদের কাছে নেই। যেটি ভেঙেছে তা একটি পুরাতন সড়ক। সেটি রক্ষার্থে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
/এএস
Leave a reply