দীর্ঘ ২২ বছরের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডের তারকা পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। তাইতো জয় দিয়েই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান ‘জিমি’। জানালেন বিদায় বেলায় অশ্রু লুকিয়ে রাখার চেষ্টায় থাকবেন তিনি। তবে ক্রিকেটের রাজকীয় এই ফরম্যাটে তার অবদান ভুলবে না ক্রিকেট প্রেমীরা। লর্ডসে উইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলতে অ্যান্ডারসন মাঠে নামবেন বুধবার বিকেল ৪টায়।
টেস্ট ক্রিকেটে অ্যান্ডারসনের উইকেটের সংখ্যাটা এখন ৭০০। বনেদি ফরম্যাট খেলা যেকোনো বোলারের কাছেই এত সংখ্যক উইকেট শিকার করা এক স্বপ্নের নাম। তবে ৭০০ উইকেট শিকার করতে গিয়ে তাকে টেস্টের আঙ্গিনায় পাড়ি দিতে হয়েছে জীবনের ২২টি বছর। বয়স শুধু মাত্রই একটি সংখ্যা হলেও একটা সময় বিদায় নিতে হয় বর্ণিল ক্যারিয়ার থেকে। এত কিছু অর্জনের পর এবার সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারকা পেসার জেমস অ্যান্ডারসন।
বয়সটা ৪২ ছুঁই ছুঁই, তারপরও প্রতিনিয়তই তিনি নিজেকে তৈরি করছেন আরও শক্তিশালী বোলার হিসেবে। গত সপ্তাহেই ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে প্রথম ইনিংসেই তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। এমন আগ্রাসী বোলিং কেবল তার দ্বারাই সম্ভব। লর্ডসে উইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার জন্য নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন আরও একবার। যদিও একজন সফল বোলারের জন্য বিদায় নেয়াটা অতটা সহজ হবে না। কিন্তু এই কাজটা সহজ হয়ে যায় যখন, চলতি বছরের শুরুতেই অ্যান্ডারসনকে সড়ে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন ইসিবি’র কর্তা রব কি, কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকস।
ক্রিকেটের রাজকীয় এই সংস্করণে আর দেখা যাবে না এই অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলারকে। তাইতো জয় দিয়েই রাঙ্গাতে চান নিজের শেষ ম্যাচটা। সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, শেষ ম্যাচে কিভাবে কান্না লুকাবেন- সেটা নিয়েই ভাবছেন তিনি।
জেমস অ্যান্ডারসন বলেন, আমি নিশ্চিত যে এই সপ্তাহের মধ্যেই আমার আবেগের জায়গায় পরিবর্তন আসবে। তাই চেষ্টা করছি কীভাবে নিজেকে কান্না থেকে দূরে রাখা যায়। গত দুই দিনে অনুশীলনে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছি। খেলা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করিনি। তবে এখন আমার মূল লক্ষ্য ভালো বোলিং করা, আর জয় নিয়ে আসা। সত্যি বলতে আপাতত আমি এদিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।
টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২০০ ম্যাচ খেলে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮৭টি ম্যাচ খেলেছেন অ্যান্ডারসন, লর্ডস টেস্টের পর সেই সংখ্যাটি গিয়ে ঠেকবে ১৮৮তে। টেস্টে ৭০০ উইকেট নেয়া এই সিমারের ধারে কাছেও নেই আর কোনো ক্রিকেটার। যদিও স্পিনার হিসেবে এখন পর্যন্ত ৫৩০ উইকেট শিকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার নাথান লায়ন ও ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার ৫১৬। হয়তো সারাজীবন অ্যান্ডারসনের কীর্তিতে কৃতজ্ঞ থাকবেন ক্রিকেট প্রেমীরা। কেননা তার মতো দ্বিতীয়টি হয়তো আর দেখা মিলবে না ক্রিকেট দুনিয়ায়।
/আরআইএম
Leave a reply