কোপা-ইউরো দুই প্রতিযোগিতা নিয়ে কোনো তুলনায় যেতে রাজী নন স্কালোনি

|

ছবি: সংগৃহীত

মধ্যরাতে ইউরোর রোমাঞ্চ শেষ হতে না হতেই কাকডাকা ভোরে শুরু লাতিন শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। রীতিমতো মধুর সময় কাটছে ফুটবল প্রেমীদের। সেইসঙ্গে দুই মহাদেশীয় লড়াইয়ের কোনটা সেরা, এ নিয়েও চলছে বিতর্ক। যা শুধু সমর্থকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সেরার লড়াইয়ে কথার যুদ্ধে মেতেছেন মেসি-এমবাপ্পেরাও।

ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে কিছুদিন আগে বলেছিলেন, ইউরো জেতাই সবচেয়ে কঠিন। ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি বলেছিলেন, একাধিকবার বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে না খেলায় ইউরোকে সবচেয়ে কঠিন বলা যুক্তিযুক্ত নয়।

ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বিশ্বকাপেও এই দুই দলের শ্রেষ্ঠত্ব। শিরোপা লড়াইয়েও দুই মহাদেশের মধ্যে চলছে ইঁদুর-বিড়াল দৌড়। বিশ্বকাপের ২২ আসরে যেখানে ১২টিতেই চ্যাম্পিয়ন ইউরোপের দলগুলো। বিপরীতে ১০টি বিশ্বকাপ জিতেছে লাতিনের তিন দেশ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ ৫টি শিরোপা ব্রাজিলের। তাই এই দুই মহাদেশীয় লড়াই নিয়ে তুলনায় যেতে রাজি নন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি।

কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলেনে এক প্রশ্নের জবাবে স্কালোনি বলেন, আমার মনে হয় না, কোনো প্রতিযোগিতা একটা থেকে আরেকটা বেশি কঠিন। ইউরোর কিছু দল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে, আমরা তাদের মোকাবিলা করেছি এবং সেটি আমাদের পক্ষে ভালো ছিল। তার মানে এই না যে, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে গিয়ে জিতে যাব।

দুই মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ফিনালিসিমা। যেখানে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলো কোপা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। তাতেও অবশ্য সেরার বিতর্কে সমাপ্তির যতি চিহ্ন টানা যায়নি। বিকল্প হিসেবে নতুন প্রস্তাব আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনির।

আর্জেন্টাইন এই মাস্টারমাইন্ড বলেন, আমার মতে, টুর্নামেন্ট দু’টির মান খুবই কাছাকছি। কোপা আমেরিকায় খেলাটা কেমন তা দেখানোর জন্য ইউরোপিয়ান দলগুলোকে কোপায় আমন্ত্রণ জানানো, বিপরীতে কোপার দলগুলোকে ইউরোতে আমন্ত্রণ জানানো হলে খুশি হতাম। কিন্তু এরকমটা হলে তো বিশ্বকাপ হয়ে যাবে, তাই না? তো দিন শেষে চ্যালেঞ্জটা একই। আমার মনে হয় না, সত্যিই খুব বেশি পার্থক্য আছে।

ক্লাব ফুটবলে অবশ্য নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে ইউরোপ। আবার উয়েফার সেসব প্রতিযোগিতা লাতিনের শৈল্পিক ফুটবলে মাতিয়ে রেখেছেন মেসি-নেইমার-রোনালদিনহোর মতো তারকারাই। সবমিলিয়ে দুই মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সমাপ্তি টানতে যাওয়াটা নিছকই বোকামি ছাড়া আর কিইবা হতে পারে?

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply